বড়লেখায় ধর্মঘটে চিকিৎসার অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

    0
    218
    ডেস্ক নিউজঃ সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে সাড়া দেশে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পথে পথে অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধের গাড়ি, বিদেশ যাত্রী, পরীক্ষার্থীর যানবাহনও আটকে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বড়লেখায় ধর্মঘটের সময়ে চিকিসার অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
    মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় পরিবহন শ্রমিকদের বাধায় আটকা পড়া অ্যাম্বুলেন্সে সাত দিনের এক কন্যা শিশু মারা গেছে। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রাম এলাকায় এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে।
    নিহত শিশুর পরিবার থেকে  অভিযোগ করা হয়েছে, বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অজমির গ্রামের কুটন মিয়ার সাত দিনের শিশু কন্যাকে অসুস্থ অবস্থায় রবিবার সকালের দিকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
    তাৎক্ষনিক শিশুর অভিভাবকরা অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল ১০টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাওয়ার পথে উপজেলার পুরাতন বড়লেখা বাজার, দাসেরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অ্যাম্বুলেন্সটি বারবার পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্সটি চান্দগ্রাম নামক স্থানে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি আটকে চালককে এলোপাতারীভাবে মারধোর করে। এ অবস্থায় এখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সটি আটকা পড়ে থাকে।
    পড়ে দুপুর দেড়টার দিকে গাড়িটি ছাড়া পেলে শিশুটিকে দ্রুত নিকটস্থ  বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
    মৃত শিশুর চাচা আকবর আলী ওরফে ফুলু মিয়া  সাংবাদিকদের জানান, “আমার ভাতিজী মায়ের দুধ খাচ্ছিল না। এজন্য তাকে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা তাকে সিলেট ওসমানীতে রেফার করেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিলেট রওনা দিই। প্রথমে দাসেরবাজারে গাড়ি আটকে চালককে মারধর করেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে অনুরোধ করলে গাড়ি ছাড়ে। চান্দগ্রামে আবার অ্যাম্বুলেন্স আটকে গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। ৫০০ টাকা দাবি করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা এখানে আটকে ছিলাম। এখানে মেয়েটা মারা গেছে। আমরা বড়লেখা থানায় গিয়ে অভিযোগ দিছি।”
    এ ব্যাপারে সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বড়লেখা উপজেলা শাখার সাঃ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন,  “সিএনজি শ্রমিকরা যেখানে যেখানে ব্যারিকেড দিয়েছিল সকালেই তা তুলে দিয়েছি। অ্যাম্বুলেন্স আটকানোর সঙ্গে কোনো সিএনজি শ্রমিক জড়িত না।”
    সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
    তবে বড়লেখা থানার ওসি ইয়াসিনুল জানান, “একটি শিশু মারা যাওয়ার কথা শুনেছি কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”