ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের হেফাজতের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    0
    423

    ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের হেফাজতের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী এটি নাকচ করে দেন। 

    ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের হেফাজতের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
    ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের হেফাজতের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ প্রচলিত অনেক আইনেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

    বিরোধীদলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।

    নতুন আইন না করলেও হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো নিয়ে তার সরকার আলোচনা করে দেখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ৬ এপ্রিলের লংমার্চের আগে চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, এর সঙ্গে লংমার্চের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্লগ ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কে কে কী লিখছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়ে কিছু আছে কি না, সেসব খতিয়ে দেখতে সরকার আগেই একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই প্রক্রিয়াতেই ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।

    ব্লগারদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় সমালোচনা উঠেছে। তাদের অভিযোগ, সরকার একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছে, অন্যদিকে হেফাজতের দাবির প্রতি সরকার নমনীয় অবস্থান দেখাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবী করিম (দ.) সম্পর্কে কেউ যদি আজেবাজে কথা লেখে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমি অন্যের কথা শুনলাম, মোটেও না। আমি নিজেও ধর্মে বিশ্বাস করি। কেউ যদি বাজে কথা লেখে তাহলে আমার নিজেরও অনুভূতিতে আঘাত লাগে।

    তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে সমান অধিকার। প্রতিটি ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করা। কেউ একটা ধর্ম সম্পর্কে যা খুশি লিখবে, এটা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। সমালোচকেরা সঠিক কাজ করছেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় অনেক মানুষ হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ তুলেছে তা নাকচ করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেন শেখ হাসিনা।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী দেশকে সেই ২০০৭ সালের পরিবেশে কেন নিতে চাইছেন?

    সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।

    খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, উনি যদি আশা করে থাকেন যে কিছু মানুষ খুন করলেই, একেবারে আর্মি ঝাঁপিয়ে পড়বে আর ওনাকে ক্ষমতায় নেবে, বর্তমান আর্মি তা করবে না।

    হেফাজতের লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে সরকারের দিক থেকে এর আগে জামায়াত ও শিবিরকে জড়িয়ে নানা আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের ফাঁদে পা না দেওয়ায় হেফাজতে ইসলামকে ধন্যবাদ।

    তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দেখেছেন, ১৮ দলের পক্ষ থেকে মঞ্চে গিয়ে সমর্থন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশঙ্কা অমূলক ছিল না। তবে আমি ধন্যবাদ জানাব যে, হেফাজতে ইসলাম কিছু কর্মসূচি নিলেও তারা যথারীতি তাদের সমাবেশ শেষে ফিরে গেছে। জামায়াতের ফাঁদে পা দেয়নি।