ব্রিটেনে ইমামের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

    0
    236

    আমারসিলেট24ডটকম,০৩ফেব্রুয়ারীঃ ব্রিটেনের পোর্টসমাউথে এক জামে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৩১ হাজার পাউন্ড হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মসজিদে ইমামতির সুযোগে মাওলানা আমিনুর রহমান বিভিন্ন সময়ে নিজের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে ছলচাতুরির মাধ্যমে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি। উপরন্তু পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে চারজন পাওনাদারকে গ্রেফতার করিয়েছেন।  পরে অবশ্য ইমাম আমিনুর রহমান পুলিশের কাছে তার প্রতারণা ও ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পোর্টসমাউথ জামে মসজিদ কমিটির নেতৃবন্দ।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পোর্টসমাউথ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল জলিল। উপস্থিত ছিলেন বাহার উদ্দিন, মো: আয়াজ আলী, মো: মজির উদ্দিন, সমুজ আলী, আজিজুর রহমান, ইকবাল মিয়া, ফয়জুর রহমান, মুজিব খান, সৈয়দ আমিনুল হক, শেখ হরমুজ আলী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাহের, মোজাহিদ হোসেন, সেলিম, খালেদ মিয়া, আবিদুর রহমান চৌধুরী, সালিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, শামীম উদ্দিন প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মৌলানা আমিনুর রহমানকে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর  পোর্টসমাউথ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মিষ্টভাষী ইমাম মৌলানা আমিনুর রহমান মসজিদে ইমামতির সুযোগে সরলপ্রাণ মুসলি¬দের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে সুযোগ বোঝে কখনোও তাঁর মায়ের চিকিৎসা, কখনো  পারিবারিক বিপদ, কখনো তাঁর কলেজের ফি পরিশোধের কথা বলে বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লি¬দের কাছ থেকে গোপনে টাকা ধার নেয়া শুরু করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে  বলা হয়, এক সময় মোটা অংকের পাওনাদার  মসজিদের মুসল্লি¬  ইকবাল মিয়া মসজিদের ইমামকে তার পাওনা অর্থ ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি নির্ধারিত তারিখে টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে ইকবাল মিয়া বিষয়টি গত বছরের জুন মাসে মসজিদ কমিটির কাছে উপস্থাপন করলে  ইমামের প্রতারণার কাহিনী বের হয়ে আসতে থাকে। পরে প্রতারণামূলক আচরণ ও মিথ্যাচারের কারণে মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লি¬দের সম্মতিক্রমে আমিনুরকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
    সংবাদ সম্মেলনে  বলা হয়, বিপুল সংখ্যক পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মৌলানা আমিনুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করে। পুলিশ ষ্টেশনে দেয়া জবানবন্দিতে মৌলানা আমিনুর মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসলিল্লদের কাছ থেকে ৩১ হাজার ১শ ৫০ পাউন্ড ধার হিসেবে নিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
    সংবাদ সম্মেলনে  জানানো হয়, মৌলনা আমিনুর রহমান পোর্টসমাউথের ইকবাল মিয়ার রেষ্টুরেন্টে অবৈধ ইমিগ্রাণ্ট আছে বলে মিথ্যে অভিযোগ করলে পুলিশ রেষ্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করে অযথা হয়রানি করে। এছাড়া আমিনুর পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে যে চারজন পাওনাদারকে গ্রেফতার করিয়েছেন তদন্তে আমিনুরের অভিযোগ ভূয়া ও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ তাদের উপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে। উল্লেখ্য, মোশাহিদ আলীর পুত্র মৌলানা আমিনুরের বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার রসুলগঞ্জের লোহারগাঁও গ্রামে।