বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নির্যাতনে পালিয়ে আসা দুই শিশু সিলেটে উদ্ধার

    0
    224

    “একজন সিলেট থেকে অপরজন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪সেপ্টেম্বর,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ   মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সেনাবাহিনীর হত্যা,ধর্ষন ও অমানবিক নির্যাতন থেকে বাঁচার আশায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম ২ শিশু সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে স্থানিয় পুলিশ।

    উদ্ধারকৃত এক শিশুর  নাম মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম (১১), পিতা জসিম উদ্দিন, মাতা শাহিনা আক্তার, গ্রাম মন্ডু,আরাকান। শিশুটি জানান” ওরা (মগরা) তাদের বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেয়, তার বাবাকে গুলি করে মেরে ফেলেছে এবং তার মাকেও গলা কেটে হত্যা করে মেরে ফেলেছে, সে ছোট ভাইকে নিয়ে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার জন্য রওয়ানা দিলে হঠাৎ বোম ফেটে কালো ধোঁয়ায় তার ভাই তার হাত থেকে ছুটে যায়।ভাইকে খোঁজার কোন সুজোগ পায়নি সে এলোপাতারি পালিয়ে যায়।সে বাংলাদেশ আনুমানিক ৮/৯দিন আগে পালিয়ে আসে।

    তাকে একজন লোক বলে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারে গেলে খাওন (খাবার) পাওয়া যাইবো। তাই ২০ জনের দলের সাথে ট্রেন যোগে রওয়ানা দেন, পরে ফেনীতে ওরা আটক হয়।একপর্যায়ে শিশু জিহাদুল আখাউড়া এসে ড্যামো ট্রেনে উঠে। আটকের দুইদিন আগে তাকে ট্রেনে এক বৃদ্ধ লোক কাঁদতে দেখলে শ্রীমঙ্গলের মুসলিমবাগের সামছুল হকের বাসায় নিয়ে যান তাকে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে শিশুকে থানায় নিয়ে আসতে বললে, স্থানিয় সামছুল হক পিতা গোলাম হোসেন, সাং মুসলিমবাগ নামের ওই লোক রোববার বিকাল ৪ টায় থানায় নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে শ্রীমঙ্গল থানার ইনচার্জ নজরুল ইসলামকে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা মুসলিম শিশু মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম,সে আরও জানান তার বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল সে যেন একজন কোরআনে হাফেজ হতে পারে।পুলিশ সুত্র জানান আটক জিহাদুল ইসলামকে উপরের নির্দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

    অপরদিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার থেকে আব্দুল আমিন (১৬) নামে আরেক রোহিঙ্গা কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়।
    উদ্ধারকৃত আব্দুল আমিন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রেলওয়ারী উপজেলার বড়িডং গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।

    দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, আব্দুল আমিনসহ তিন কিশোর কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে পালানোর চেষ্টাকালে অন্য দু‘জন পুলিশের হাতে আটক হয়। তবে আব্দুল আমিন ত্রাণ নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকে উঠে সিলেট পালিয়ে আসে। আটক আব্দুল আমিনকে ও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।