আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩অক্টোবর,ডেস্ক নিউজঃ মিয়ানমার থেকে সেখানকার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ সহযোগীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য এক লাখ ২৫ হাজার ঘরের প্রয়োজন জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘এক লাখ ঘর ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। বাকি ২৫ হাজার ঘর তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে এ মাসের মধ্যেই।’
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং গণহারে হত্যা করেছিল। ঠিক একইভাবে মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর দমন, নিপীড়ন করছে। সেখানে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদেরকে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করছি, দমন ও নিপীড়ন বন্ধ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। তাদের থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা নিষেধ করব না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার নামে যদি কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করেন তাদের বরদাস্ত করা হবে না।’
বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে রোল মডেল উল্লেখ মায়া বলেন, ‘আগুন নেভানো ছাড়াও বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক, বিএনসিসি, আনসার, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী সদস্যরা কাজ করে থাকেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে বাংলাদেশ।’
চলতি বছরে পাঁচটি দুর্যোগ বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।