বেসামাল রাঙ্গাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

    0
    261

    গণতন্ত্রের প্রতীক শহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগকে কটাক্ষ ও বিকৃত করে এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বেসামাল হয়ে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা সত্যিকার স্বৈরাচারী নীতি ও মনোভাব ধারণ করা নেতার বহিঃপ্রকাশ যা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। রাঙ্গার উচিত যত দ্রুত সম্ভব জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন প্রজন্মকে বিকৃত ইতিহাস রোধে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করা।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর বাংলাদেশ গণ ঐক্য আয়োজিত গণতন্ত্রের প্রতীক নূর হোসেনকে ইয়াবাখোর বলে মন্তব্য করে ধৃষ্টতা দেখানোর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির (জাপা) মসিউর রহমান রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবানে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ৯০-এর গণআন্দোলনে নূর হোসেন ইয়াবা সেবন না করলেও আমাদের মনে হচ্ছে রাঙ্গা ঠিকই মাদকাসক্ত হয়ে বেসামাল কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন। এক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের বিএনপি যেভাবে একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে একটা প্রজন্মকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্র করেছে ঠিক তেমনিভাবে আরেক স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাও গণতন্ত্রের প্রতীক শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে, নূর হোসেনের আত্মত্যাগকে বিকৃত করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে ৯০ পরবর্তী প্রজন্মকে ভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।

    বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় আরও বলেন, একটি তথ্য নির্ভর জাতি গঠনে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই তথ্য-প্রমাণ নির্ভর বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় এই প্রজন্মের সাথে সাথে ইতিহাসও ওইসব রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে। আর দলের মহাসচিব হিসেবে মসিউর রহমান রাঙ্গার এই ধরনের বক্তব্যে আবারও প্রমাণ করলো, জাতীয় পার্টি সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচার নীতি ও ভাবাদর্শে বিশ্বাসী যা গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে পদদলিতে পিষ্ট হয়ে হারিয়ে যাবে।

    বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র না করে বরং গণতন্ত্রের প্রতীক নূর হোসেনসহ ৯০-এর গণআন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বিকৃত ও মিথ্যাচার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে নিজের বেসামাল চিন্তাভাবনা থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বেরিয়ে আসার আহ্বান করেন বক্তারা।

    মানববন্ধন শেষে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

    সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন (উপস্থিতি অনুযায়ী) কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, বোয়াফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ নুরুদ্দিন খাঁন, বাকশালের মহাসচিব কাজী মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ূম প্রমুখ।