বেলজিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে বৈশাখবরণ

    0
    173

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩মে,হৃদয় দেবনাথ: নববর্ষের সকালে পান্তা-ইলিশ দিয়ে সকালের খাবার সেরে ছেলেরা পাঞ্জাবী আর মেয়েরা শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়ে। রমনার বটমূল-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে চলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার নানা আয়োজন। নতুন বছর নব আনন্দ নিয়ে হাজির হয় প্রতিটি বাঙালি পরিবারে। বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস হাজার বছরের।

    সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতির সাথে বর্ষবরণ উত্সব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্বায়নের এই যুগে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। তাই বলে আবহমানকাল ধরে চলে আসা উৎসবমুখর বাঙালির প্রাণের বৈশাখ বরণের দৃশ্যপটের তারতম্য ঘটেনি কোথাও। বৈশাখ মানে যে শুধু নতুন বছরকে সাদরে বরণ করা, তা নয়। আমার মনে হয় সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীর এক অপূর্ব মহামিলন উৎসবও বটে।

    গান পরিবেশন করছেন নারীরা

    বুধবার (দুই মে) বেলজিয়ামের লিয়াজে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উৎযাপন করেছে।বেলজিয়াম প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়।দেশীয় নানান রঙের পোশাক পরে তাদের পরিবারের সদস্যগণ বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। উপস্থিতি দেখে মনে হয় এযেন প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ। যা বিদেশিদেরও বেশ আকৃষ্ট করেছে। অনুষ্ঠানে দেশীয় নানা রকম খাবার দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ণ করা হয়।

    দর্শনার্থিদের একাংশ

    শতাধিক পরিবারের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আনন্দ-মুখর করে তোলে পাশাপাশি বাংলাদেশে থেকে আগত শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা অন্যরকম এক আনন্দ যোগ করে!সংগীত পরিবেশন করে প্রবাসী দর্শকদের গানে গানে মাতিয়ে রাখেন কোকিল কন্ঠী গায়িকা ক্লোজআপ ওয়ান তারকা পুতুল,ফোক গানের যুবরাজখ্যাত আশিক, এবং মিরাক্কেল খ্যাত অভিনেতা আবু হেনা রনি সাইদুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে হাবিবুল হাসান সোহাগের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির অন্যতম ব্যাক্তিত্ব ইব্রাহিম খালেদ।

    বক্তব্য রাখেন তপন রায়, রানা ফারুক , শরিফুল ইসলাম মঞ্জু ,জসিম উদ্দিন শাহাজান আহমেদ , তসু মিয়া প্রমুখ!অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বেলজিয়ামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব চয়ন রায়।

    অনুষ্ঠানটির অন্যতম আয়োজক চয়ন রায় বলেন, দেশের আবহমান সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেয়া আর সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে নতুন প্রজন্মকে দেশের আবহমান কালের সংস্কৃতিকে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই ধরনের বর্ষবরণ ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।