বেনাপোল বন্দরে ভূয়া সিএন্ডএফ স্টাফ কার্ডসহ যুবক আটক

    0
    412

    বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলে সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর ভূয়া কার্ডসহ আসানুজ্জামান হাসান (৩০)নামে এক প্রতারককে আটক করা হয়। বৃহষ্পতিবার বিকালে স্থলবন্দরের ট্রাক টার্মিনালে সিএন্ডএফ কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় বন্দরে কর্মরতরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। প্রতারক আসানুজ্জামান হাসান বেনাপোল পোর্টথানা ধীন সাদিপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
    প্রতারনাকারীকে সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর নিজস্ব ভবনে নিয়ে আসা হয়। কার্ড কোথা থেকে বানিয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভূয়া কার্ডধারী হাসান বলেন, আমি বেনাপোল হাজী মোহাম্মদ উল্লাহ মার্কেটের ভিতরে ছবি স্টুডিও স্বত্বার্ধীকারি ও একতা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুমন হোসেন কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কার্ডটি বানিয়েছি। প্রথমে আমার কাছ থেকে ৩শ’ টাকা নিয়ে সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সই নকল করে এই ভূয়া কার্ডটি বানিয়ে দিয়েছে। যার ভূয়া কার্ড নং ২৩৩৮।
    পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের হুবাহু একটি কার্ড করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে আরোও ৪ হাজার ৭শত টাকা নিয়েছে। ছবি স্টুডিও মালিক সুমন হোসেন একতা প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারন সম্পাদক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
    সুমন হোসেন সিএন্ডএফ এজেন্টের বর্ডার এবং এ্যাসিসন্টের কাজ না করেও বিশেষ এক ব্যাক্তির সহযোগীতার মাধ্যমে মেসার্স সাফ কো সিএন্ডএফ এজেন্ট এর নামে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়। সেই সুবাধে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর আইডি কার্ড পায়। (যার কার্ড নং ২৩৩৭) এই আইডি কার্ডের রিফারেন্সে সাদিপুর গ্রামের হাসানুজ্জামানকে ভূয়া কার্ডটি তার নিজের স্টুডিও থেকে বানিয়ে দেয়। ভূয়া কার্ডধারী হাসানুজ্জামান ভারত থেকে আসা পন্য বোঝায় ট্রাক ড্রাইভারদের কাছ থেকে কার পাশ নিয়ে আনলোড করার কথা বলে নগত অর্থ নিয়ে থাকে। পরে সেই কারপাশ ছিড়ে ফেলে। বৃহষ্পতিবার সেই একি প্রতারণা করার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সিএন্ডএফ কর্মচারীরা।
    বেনাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বেনাপোল বন্দরে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মচারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ড্রাইভারদের হয়রানী করে আসছিল। হাসানুজ্জামান নামে এক যুবককে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর ভূয়া একটি কার্ডসহ তাকে ধরা হয়েছিল। পরে আমাদের অফিসে তাকে নিয়ে এবং ভূয়া কার্ড বানানো কারীগর ছবি স্টুডিওর সুমনকে ডেকে আনা হয়েছিল। ছবি স্টুডিওর সুমনকে এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত পাওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ভূয়া কার্ডধারী হাসানুজ্জামান হাসানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ তার পিতার মুচলেখার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
    এদিকে ভূয়া কার্ড বানানোর কারিগর একতা প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক ও ছবি স্টুডিওর সুমন হোসেনকে মেসার্স সাফ কো সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন এর আইডি কার্ডটি বাতিল করবে বলে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক তদন্ত করলে আরো কতো সরকারি বেসরকারি ভুয়া কার্ড করা হয়েছে তা বাহির হয়ে আসবে। অর্থের লোভে সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে কত জনের কার্ড করে দিয়েছে।