বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি ২ দিন বন্ধ

0
912
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি ২ দিন বন্ধ
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি ২ দিন বন্ধ

এম ওসমান, বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশে পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে দু’দিন আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তবে এ পথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে সচল থাকবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি আমার সিলেট প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করে জানান, ১৪এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এ পথে আমদানি-রফতানি হয়নি। ১৫ এপ্রিল আবার কার্যক্রম চালু হলেও  ১৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটিতে  বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৭ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে পুনরায় স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবার সচল হবে।

এদিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রতিবছরের পহেলা বৈশাখে ভারতের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণ পালন করেন। এদিন ছুটি কাটাতে বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চিঠির মাধ্যমে পূর্বেই জানানো হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এসময় শর্ত মেনে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তবে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে আমদানি ও রফতানি হয় না। এ বন্ধের মধ্যেও বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, দু’দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। বেনাপোল বন্দর থেকেও বাংলাদেশি পণ্য প্রায় ১৫০ টির মতো ট্রাক যায় ভারতে। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে বলে জানা যায়।