বেনাপোলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা

    0
    226

    বেনাপোল থেকে এম ওসমান: জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, কিভাবে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরন করা যায় সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশের সকল জেলা ও অন্যান্য স্থল বন্দরের মতো বেনাপোল স্থলবন্দরে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়নের অংশীদার হতে তিনি ব্যবসায়ীদের ঠিকমত কর দিয়ে সরকারকে সহায়তা ও পাশাপাশি কাষ্টমস কর্মকর্তাদেরকে ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করতে বলেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানের জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি করতে সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে একটি উন্নতশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশকে নিয়ে একটি মহল নানা ভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে।

    নাশকতার নামে তারা দেশকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামীলীগের জন্য একটি সুসময় এসেছে। দেশে এখন সু-বাতাস বইছে। সবাই আজ শেখ হাসিনা সরকারের দিকে চেয়ে আছে। আজ পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দরের অবকাঠামো বাড়ছে। শেখ হাসিনা সরকার দেশকে সুন্দর থেকে আরো সুন্দর করছে। তিনি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই চায় ট্রানজিট চালু হোক। এটি পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেকদুর এগিয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ে ট্রানজিট নিয়ে আলোচনা করছে। অচেরেই ট্রানজিট চালু হবে। সরকার চার দেশের মধ্যে ফ্রী মুভমেন্ট ভিইকেল (বিবিআইএন) স্বাক্ষর করেছে অচিরেই তা বাস্তবায়ন হবে।

    আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত হবেন। পাশাপাশি জনগন কাস্টমসের কার্যক্রম, গুরুত্ব ও দেশের উন্নয়নে তাদের ভুমিকা সম্পর্কে অবহিত হবেন। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি জগতের অবারিত সুযোগ সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভৌগলিক সীমারেখা ভেঙে কাস্টমস এক অখন্ড বিশ্ব প্রতিষ্টার মহতী বন্ধনে বিশ্ব মানুষকে আবদ্ধ করবে। আমদানি ও রফতানি কার্যক্রমকে সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুসংহত যোগাযোগ স্থাপন অপরিহার্য্য।

    তিনি শনিবার সকালে ‘আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ‘স্মাট বর্ডার ফর সিমলেস ট্রেড, ট্রাভেল এ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট’ এ প্রতিবাদ্য বিষয় নিয়ে এবার বেনাপোল কাষ্টম হাউসে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এ দিনে বিশ্বের ১৮০টি দেশের সাথে ’দি ওয়াল্ড কাষ্টমস ওরগানাইজেশন’ কর্তৃক সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ কাষ্টমস দিবসটি পালন করে থাকেন।

    যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোঃ শত্তকাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন কমিশনার শাকিলা পারভীনের স ালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী। মূল প্রবব্ধ পাঠ করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মো: জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) মো: সাইফুল ইসলাম, এফবিসিসিআই এর অর্থ মন্ত্রনালয় বিষয়ক স্ট্যাডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও হক‘স বে অটোমোবাইলস লি: এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল হক, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান, সিনিয়ার সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা প্রমুখ। সভাশেষে বেনাপোল কাস্টম হাউজ শিক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    এ সময় বিভিন্ন সরকারী সংস্থা, আমদানি-রফতানিকারক, চেম্বার অব কমার্স, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ মাঠে শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ সূচনা করেন অতিথিরা। পরে কাস্টম হাউস থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এ উপলক্ষে বেনাপোল কাষ্টম হাউসকে সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। সড়ক পথ ও উল্লেখযোগ্য স্থান বিলবোর্ড, পোস্টারিং, ব্যানার, ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়েছে।