বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ইতিহাসই বদলে দিতে চাইছেনঃমেনন

    0
    229

    “গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মেনন বেগম জিয়া স্বাধীনতার ইতিহাসের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ইতিহাসই বদলে দিতে চাইছেন”

    আমারসিলেট24ডটকম,৯মার্চঃ ‘বেগম জিয়া স্বাধীনতার ইতিহাসের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ইতিহাসই বদলে দিতে চাইছেন। জিয়া যদি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস একাত্তরের বদলে পঁচাত্তর থেকে শুরু করতে হয়। বেগম জিয়ার দাবি অনুযায়ী এই একাত্তরে নয়, পঁচাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার এই দাবি কেবল ইতিহাস বিরুদ্ধই নয়, দেশের সর্বোচ্চ আইন ও সংবিধান বিরোধী। আর এ কারণে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা হওয়া উচিত।’

    গতকাল ২৮ মার্চ ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন।

    মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্বেচ্ছাবন্দী বেগম জিয়া এখন নিজেকে কেবল মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন না, নির্লজ্জের মতো তার জন্য সম্মাননা স্মারকও গ্রহণ করছেন। কথায় বলে, দু’কান কাটা রাস্তার মাঝ দিয়ে যান- বেগম জিয়ার সেই অবস্থা। গার্হস্থ্য নারী শ্রমিকদের দাবি সম্পর্কে মেনন গৃহশ্রমিকদের জন্য নীতিমালা গ্রহণেরও দাবি জানান।

    বিশেষ অতিথির ভাষণে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গৃহশ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয় গৃহশ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিগগিরই গৃহশ্রম নীতিমালা পাস করবে। একইভাবে বর্তমান শ্রম আইন সংশোধন করে গৃহশ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি গৃহশ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতন ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।

    জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এ্যাডভোকেট জাহানারা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, সৈয়দ সুলতান আহমদ, নারীনেত্রী লুৎফুন্নেসা খান বিউটি। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার।

    সম্মেলন আন্‌জুমনোয়ারা বেগমকে সভাপতি এবং মুর্শিদা আখতার নাহারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ১৫ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত করে।