বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান

    0
    432

    গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
    এর আগে দুপুর ১২টার দিকে স্মারকলিপি নিয়ে শাহবাগ থেকে রওনা হন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার হাজারো জনতা। মিছিলটি ফার্মগেটে পৌঁছার পর পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন এবং সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
    সমাবেশ থেকে ইমরান জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান। একই সঙ্গে ৬ এপ্রিল জোহরের নামাজের পর প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নিয়ে সমাবেশের কথা জানিয়ে ইমরান সবাইকে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
    পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। আন্দোলনকারীরা ফার্মগেট থেকে শাহবাগে ফিরে যান। প্রতিনিধিদলটি বেলা একটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্মারকলিপি দিয়ে বেলা দুইটার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।
    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দিতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) মিজানুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, দাবির বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
    গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে এ মিছিল করা হয়।
    মিছিল শেষে প্রজন্ম চত্বরের মূল মঞ্চে ইমরান বলেন, ‘আমরা ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করব এবং এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না এলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেব। আমরা সরকারের কাছ থেকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা চাই।’
    মানবতাবিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হয়। একপর্যায়ে মঞ্চ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে সুস্পষ্ট উদ্যোগ দাবি করা হয়। এ দাবি পূরণ না হওয়ায় স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি নেওয়া হয়।