বুদ্ধিজীবি দিবসে সুনামগঞ্জে শহীদ পরিবারকে শুভেচ্ছা 

    0
    246
    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনির ছুড়া বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুনামগঞ্জে প্রথম
    শহীদ আবুল হোসেন’র পরিবারকে শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যদিয়ে দিবসটির সুচনা করেন জেলা প্রশাসক। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সদও উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে শহীদ আবুল হোসেন’র সহধর্মীনিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্ম আব্দুল আহাদ ফুলেল শুভেচ্ছ ও উত্তরীয় প্রদান করেন। এবং উপহার সামগ্রী তার হাতে তুলে দেন। এসময় শহীদ আবুল হোসেন’র পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ঘর নির্মান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আগামি এক মাসের মধ্যেই ঘর নির্মান করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শহীদ আবুল হোসেন’র পরিবার ছাড়াও শনিবার জেলার দিরাই উপজেলায় শহীদ পরিবার ও দোয়ারাবাজারে বীর প্রতিকদের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সম্মাননা ও শুভেচ্ছা জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
     জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আজ আমরা ৪জন শহীদ পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাবো। পর্যায়ক্রমে জেলা সকল শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মাননা ও শুভেচ্ছা জানানো হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, বীর মুক্তিযুদ্ধা মালেক হোসেন পীর, সাংবাদিক আল হেলাল,রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী,প্রেসক্লাব’র সহসভাপতি শামস শামীম,সাংবাদিক বুরহান উদ্ধিন, রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংবাদিক আকরাম উদ্ধিন,শহীদনুর আহমদ,লিপসন আহমদ,কর্ন বাবু দাস।
    শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। বাবার নাম জায়ফর মামুদ। বাড়ি সুনামগঞ্জ শহরতলির অচিন্তপুর।
    মুক্তিযুদ্ধের উত্থাল দিনগুলোতে সুনামগঞ্জ শহর এবং শহরতলির মুক্তিকামী জনতার কাছে খবর পৌঁছায় ১২ জন পাকসেনা তখনকার সার্কিট হাউসে (উকিলপাড়ার পুরাতন সার্কিট হাউস) অবস্থান নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ মানুষজন তখন ছুটতে থাকেন সার্কিট হাউসের দিকে। মুক্তিযোদ্ধা জনতা ঘেরাও করে নেন পাক সেনাদের অবস্থানস্থল সার্কিট হাউস।
    সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শহর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে পাক সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন মুক্তিযোদ্ধা ও আনসার সদস্যরা। সতীশ চন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অবস্থান নিয়ে আবুল হোসেনও সার্কিট হাউস লক্ষ করে ফায়ারিং করতে থাকেন। এখানে এক পর্যায়ে তিনি পাকবাহিনির ছুড়া বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শহীদ হন আবুল হোসেন।