বিয়ের দাবিতে চুনারুঘাট প্রেমিকের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার শ্রীমঙ্গলের প্রেমিকা

0
487
বিয়ের দাবিতে চুনারুঘাট প্রেমিকের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার শ্রীমঙ্গলের প্রেমিকা
বিয়ের দাবিতে চুনারুঘাট প্রেমিকের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার শ্রীমঙ্গলের প্রেমিকা ফিরে আসছে।

এস এম সুলতান খান, চুনারুঘাট থেকেঃ চুনারুঘাট উপজেলার ডুলনা গ্রামের প্রেমিক জিতু মিয়ার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে এসে বাড়ির লোকজনের মার খেয়ে ফেরত যেতে হয়েছে প্রেমিকা তাহমিনাকে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকালে জিতু বাড়ির আঙ্গিনায় ঘটনাটি ঘটে।
তাহমিনা বলেন, দুই বছর আগে উপজেলার ডুলনা গ্রামের আহসান আলীর পুত্র জিতু মিয়া (২৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। বিষয়টি জিতু মিয়ার পরিবার অবগত ছিল। তাহমিনার বয়স ১৮ হলে বিয়ে হবে বলে তাহমিনাকে আশা দেন জিতুর মা-বাবা।
তাহমিনা ও জিতু একসঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মত চলাফেরা করতেন। এমনকি তাহমিনা ইতিমধ্যে ২ বার এসে জিতু মিয়ার বাড়িতে থেকে গেছে।বিভিন্ন জাগায় প্রেমিক জিতু কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানেন।
তাহমিনার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে জিতুর পরিবার তাহমিনার সঙ্গে টালবাহানা শুরু করে। জিতুর বাবা আহসান আলী বিয়ের পরিবর্তে তাহমিনাকে টাকা পয়সার লোভ দেখান। তাহমিনা টাকা পয়সার ব্যাপারটি মেনে নিতে রাজি হননি।
এক পর্যায়ে তারা জিতুকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাহমিনা এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায়।
এলাকাবাসী জিতুর পরিবারকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য বলেন।
এরপর থেকে জিতু ও তার পরিবার তাহমিনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
বাধ্য হয়ে তাহমিনা তার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি জানায়। তখন জিতু মিয়া ও তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না।
তাহমিনাকে বাড়িতে দেখে জিতুর চাচা কাসেম আলী, চাচাতো ভাই আজিজ ও বোন অজুপা মারধর করে। আহত হয়ে তাহমিনা চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা করায়।
তাহমিনা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের করিম মিয়ার কন্যা। বিষয়ে জিতু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাহমিনার সাথে তার বেশ আগে রং নাম্বারে ফোনে কথা হয়েছে। সরাসরি দেখা হয়নি। কোনো প্রেম ভালবাসা ছিল না। জিতু মিয়ার এলাকার কিছু মানুষ জিতু মিয়ার কাছে টাকা পয়সা চেয়েছে। টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দিচ্ছে।