বিসর্জনে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বড় উৎসব

    0
    323
    সাদিক আহমেদ,স্টাফ রিপোর্টার: সারা দেশের ন্যায় অসাম্প্রদায়িক এলাকা শ্রীমঙ্গলেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
    মঙ্গলবার  বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্টান শারদীয় দুর্গাপূজা।কৃপারূপে মর্ত্যে অবতারণী দেবী দুর্গা আজ ফিরে যাবেন কৈলাশে।
    স্থানিয় সাংসদ,আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য পূজা দর্শনার্থী

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস প্রতিবছর দেবী দুর্গা অশুর রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করতে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং পৃথিবীতে শান্তি অবতারণ করে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ফিরে যান কৈলাশে।

    গতকাল (সোমবার) ছিল মহানবমী।নবমীর প্রধান আকর্ষণ ছিল মন্ডপে মন্ডপে আরতি প্রতিযোগীতা ও কুমারী পুজা।আর আজ ছিল বিজয়া দশমী।

    দুপুরে শুরু হয় বিজয়া শোভাযাত্রা।বিজয়া শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ,স্থানিয় সাংসদ,আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ।

    বিসর্জন প্রাক্ষালে আগে পিছে র‍্যাব-পুলিশের কড়া পাহারা ছিল নজর কাড়ার মত। 

    শ্রীমঙ্গল সার্বজনীন দুর্গাবাড়িতে সম্মিলিত বাদ্য বাজনা,মন্ত্র উচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ধর্মীয় শোভা যাত্রা। এ সময় হাজার হাজার হিন্দু ভক্তদের রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে বিসর্জন উপলদ্ধি করতে দেখা গেছে।

    বিভিন মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় পুরো শ্রীমঙ্গল শহরে।একে একে প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোড,হবিগঞ্জ রোড,মৌলভীবাজার রোড,কলেজ রোড প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি।

    বিসর্জনের ভিড়ে আটকা পড়ে একটি রোগী বহনকারী সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ।
    বিকাল প্রায় ৫ টায় শ্রীমঙ্গলের প্রধান সরক গুলো প্রদক্ষিণ করে ফিরে যায় স্ব স্ব মন্ডপে। সেখানেই স্থানীয় পুকুর, দিঘিতে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন।তাদের বিশ্বাস মতে ০৫ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মর্তালোকে এসেছিলেন দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গা।

    পূজা উৎযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার তথ্যমতে,এবছর শ্রীমঙ্গলে ১৬৭ টি মন্ডপে অনুষ্টিত শারদীয় দুর্গাপূজা।যার মধ্যে ১৫৫ টি মণ্ডপ ছিলো সার্বজনীন ও বাকি ১২ টি ছিলো ব্যক্তিগত।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে,দেবী এবার নৌকায় চড়ে এসেছিলেন পিত্রালয়ে এবং ঘোড়ায় চড়ে ফিরে গেলেন কৈলাশে।

    যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাসসহ সিএঞ্জি ও সকল প্রকার যানবাহন।

    এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার শুরুর ফলে শ্রীমঙ্গলে দেখা দেয় বিশাল যানজটের এতে প্রায় ৩ ঘণ্টারও অধিক যাত্রীদের পোহাতে হয় অবণর্নিয় দুর্ভোগ।মৌলভীবাজার রোডস্থ রুপসপুর জামে মসজিদের সামনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স জামে আটকা পড়ে।পড়ে ইমারজেন্সি লেন করে এম্বুলেন্সটিকে রাস্তা করে দেয়া হয়।

    এদিকে বিজয়া শোভাযাত্রাকে সফল করার জন্য প্রশাসনের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।
    অনাকাঙ্ক্ষিত যেন কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য রাস্তায় ছিল পুলিশি টহল ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তা ছাড়া দলমত নির্বিশেষে স্থানিয়দেরও সহযোগিতার কমতি ছিলনা।