বিশ্ব নদী দিবসে কুলাউরায় ব্যাতিক্রমধর্মী কর্মসুচী পালন

    0
    207

    “কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবহমান গোগালিছড়া নদীকে বদ্ধ জলাশয় দেখিয়ে ইজারা’র প্রতিবাদ”

     

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৬সেপ্টেম্বরকাগজের তৈরি বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট নৌকা নদীতে ভাসিয়ে ব্যাতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ। গতকাল ২৫শে সেপ্টেম্বর রবিবার কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবহমান গোগালিছড়া নদীতে এ কর্মসুচী পালন করা হয় ।

    জানা গেছে, প্রবহমান গোগালিছড়াকে ‘বদ্ধ জলমহাল’ দেখিয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসন স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমিতিকে সম্প্রতি ইজারা প্রদান করে । নদীকে ‘বদ্ধ জলাশয়’ দেখানোয় স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন সমূহের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । ক্ষুদ্র স্বার্থে নদীর চরিত্র পরিবর্তনের এই অসাধু প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধ্যে প্রতিবাদ জানাতে এবং অবিলম্বে ‘নদী ইজারা’ বাতিলের দাবিতে রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুলাউড়া-জুড়ী সড়কের আছুরিঘাট এলাকায় গোগালিছড়া নদীতে ‘প্রতিবাদী নৌকা ভাসানো’ হয় ।

    এ সময় নদীতীরে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সভা । ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আবদুল করিম কিমের সভাপতিত্বে ও কুলাউড়া পরিবেশ আন্দোলন-এর সংগঠক আলমগীর আলম শাহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন বাপা’র সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নাজিয়া চৌধুরী, অঙ্গীকার বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক মঈন উদ্দিন জালাল, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি সমর সী বিজয়, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, এলাকাবাসীর পক্ষে জুড়ীর শাহপুর গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বী সফিকুর রহমান, বাপার সংগঠক আজাদ হোসেন, বদরুল ইসলাম চৌধুরী, শ্যামল সিংহ, শরিফুদ্দীন বুলবুল প্রমুখ ।

    সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তি স্বার্থে দেশের নদ- নদী দখল-দূষণ ও ভরাট করে চলেছে । এরই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন প্রবহমান নদী গোগালিছড়া’কে ‘বদ্ধ জলমহাল’ দেখিয়ে ইজারা প্রদান । বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নদ-নদী রক্ষায় নিজের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন একাধিকবার সেখানে মৌলভীবাজার-এর জেলা প্রশাসক কোন ক্ষমতা বলে এই অপকর্মে যুক্ত হলেন ? বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, সদ্য যোগ দেয়া কোন জেলা প্রশাসক নয়, কোনটি নদী আর কোনটি বিল এটা স্থানীয় জনগণ ভালো জানে । শত শত বছর ধরে বয়ে চলা নদীকে ‘বদ্ধ জলাশয়’ ঘোষণা করা হলেই তা মেনে নেয়া হবে না । অবিলম্বে ইজারা বাতিল করতে হবে । ‘বদ্ধ জলমহাল’-এর তালিকা থেকে গোগালীছড়া নদীকে বাদ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ।