বিমসটেক সম্মেলনে প্রথমেই বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা

    0
    245

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪মার্চঃ মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে শুরু হয়েছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় আঞ্চলিক জোট বিমসটেক-এর তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য “সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব।” আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের স্বাগত জানান মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপরই শুরু হয় শীর্ষনেতাদের বক্তব্য।এতে প্রথমেই বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আঞ্চলিক উন্নয়নে বিমসটেকের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে এই অঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

    ঢাকায় বিমসটেক দারিদ্র নিরসন সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বাংলাদেশ দারিদ্রের মাত্রা ৪০ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে টেকসই জ্বালানি উন্নয়ন কর্মসূচির কথাও। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তা পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন তিনি। এছাড়া, তার বক্তব্যের একটি বড় অংশজুড়ে ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এই অঞ্চলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর উন্নয়নের কথা। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ৩ কোটি মানুষের সম্ভাব্য অভিবাসনের কথা তুলে ধরেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমসটেকের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া না হলে এর সদস্য অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমস্য দেখা দিতে পারে।

    এ অবস্থায় বাংলাদেশের পক্ষে কণ্ঠ জাগ্রত করতে অন্য দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিমসটেক উদ্যোগ নিতে পারে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) নামের এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসে এবং থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব সিহাশাক ফুয়াংকেতকি অংশ নিয়েছেন। সূত্র: আইআরআইবিপ্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত দশকে (২০০৪-২০১৩) ভারতে গড়ে ২৯৮টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব বিস্ফোরণে হতাহত এক হাজার ৩৩৭ জন। ভারতের উত্তর-পূর্বের (অসম-মণিপুর) রাজ্য এবং মাওবাদী-অধ্যুষিত (বিহার-ছত্তিশগড়-ঝাড়খন্ড) এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের হার বেশি।