বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্টের পর নড়াইলে বিল দখলে পদক্ষেপ

    0
    234

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ    নড়াইলে বিলের ফসল ও মাছের অভয়াশ্রমকে নষ্ট ও জবরদখল করে মাছের ঘের সংক্রান্ত এক রিপোর্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হবার পর দিন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন হোতা কামাল প্রতাপ গ্রামের এনায়েত কাজী, আমাদা গ্রামের কামরুল খান এবং কামঠানা গ্রামের মিন্টু মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে এবং সদও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ঘটনাস্থল আন্ধারকোটা বিল পরিদর্শন করেছেন।
    জানা গেছে, সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামাল প্রতাপ গ্রামের আন্ধারকোটা বিলে গত দুই মাস পূর্ব থেকে এনায়েত কাজী প্রায় ১৫ একর, পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের কামরুল খান ৪০ একর এবং কামঠানা গ্রামের মিন্টু মিয়া আন্ধারকোটা বিলে ৬০ একর জমিতে জবরদখল করে এ মাছের ঘের করছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগিরা এক সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
    অভিযোগে জানা গেছে, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কামাল প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজের ৪২ শতক, শান্তিরাম বিশ্বাসের ১একর ২৬শতক ,সত্যরঞ্জন মালাকারের ১ একর ১৪ শতক,,দুলাল বিশ্বাসের ৯০ শতক, শক্তিপদ বিশ্বসের ৭৮শতক, সৈয়দ রানার ৭৫ শতক, প্রশান্ত বিশ্বাসের ৬০ শতক, সুশীল মন্ডলের ১২ শতক এবং সৈয়দ নায়েব আলীর ১একর, ভক্তদাস বিশ^াসের ৭৮শতক,সিদ্দিক মল্লিকের ১ একর ৩৫ জমি জবর দখল করে কামরুল, এনায়েত ও মিন্টু মাছের ঘের কেটেছে। এদিকে এমনভাবে ঘের কেটেছে তাতে ওই গ্রামের জয় বিশ্বাস, খায়ের মল্লিক, আমজাদ কাজীসহ অনেকের প্রায় ২০-২৫ একর জমিতে যাওয়ার কোনো পথ নেই। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হলে হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন বিলে কয়েক হাজার একর ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত এবং জবরদখল করে অসংখ্য মাছের ঘের গড়ে উঠেছে। ফলে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে,দেশী মাছের বিলুপ্তি হচ্ছে, খাল থেকে পানি জমিতে প্রয়োজনের সময় ঢুকতে এবং বের হতে না পারায় ফসল হানি ঘটছে।
    এদিকে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিন জনকে আটকের পর ভূক্তভোগি জমির মালিকরা মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় যান দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিচারের দাবিতে। তবে স্থানীয় অন্য একটি পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছে।
    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে কামাল প্রতাপ গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। জোর করে ঘের করার ঘটনায় মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
    এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কৃষ্ণা রায় বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৬জুন) সকালে ঘটনাস্থল আন্ধারকোটা বিল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।