আমারসিলেট24ডটকম,১৬ডিসেম্বরঃ প্রায় বিশ বছর আগে নারীদের ব্যবহারের জন্য কন্ডম প্রচলন শুরু হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি আজও । তবে তা পুরোপুরি হারিয়েও যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কম্পানি নতুনভাবে বাজারে আনছে নারী-কন্ডম। শুরুতে যেসব কারণে অধিকাংশ নারীর কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, তা দূর করে বিভিন্ন সুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে এসব কম্পানি।
জানা যায়,বর্তমানে তুলনামূলকভাবে আফ্রিকান দেশগুলোতে এবং ব্রাজিলে এই নারী-কন্ডম ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্যবহারকারীরা নিজেরাই এর সুবিধার কথা প্রকাশ করতে থাকায় বাজারজাতকরণে সুবিধা হচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলো বিউটি পার্লারে এই নারী-কন্ডম রাখা হয়। আগ্রহীদের দেখানো হয় কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়। পুরুষ কন্ডমের বিপরীতে রয়েছে নারী-কন্ডমের কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। যেমন, অন্তরঙ্গ মুহূর্তে পুরুষদের জন্য এটি পরিধান করা বিরক্তিকর। অথচ নারী-কন্ডম বেশ কয়েক ঘন্টা আগে যোনীতে যুক্ত করা যায়। সঙ্গিনী চাইলেও অনেক সময় সঙ্গী তা মানতে চায় না। তখন সঙ্গিনী ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নারী-কন্ডম তাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
শুরুর দিকে প্রচলিত নারী-কন্ডমে কিছু অস্বস্তি তৈরি করতো নারীদের জন্য। নতুন সংস্করণের নারী-কন্ডম এসব দূর্বলতা থেকে মুক্ত হয়ে আরো নারীবান্ধব হচ্ছে। বাজারজাতকরণে যুক্ত হচ্ছে নুতন মাত্রা। আফ্রিকার গ্রাম্য বাজারগুলোতে নারী বিক্রেতারা বা স্বাস্থ্যাবিষয়ক এনজিওকর্মীরা এর ব্যবহারবিধি প্রদর্শন করে। সেখানে শুধু প্রজননসক্ষম নারীরা ভিড় করে গোল হয়ে দাঁড়ায়। কোনো পুরুষ কাছে ঘেষে না। ফলে সহজে পশ্চাতপদ জনপদের নারীরা এ সম্পর্কে জানতে পেরে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়।