বিধ্বস্ত বিমানে সিলেট মেডিকেলের ৯শিক্ষার্থী নিহতঃআহত-২

    0
    231

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩মার্চঃ   বাংলাদেশি বিমানের ইতিহাসে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট মিলিয়ে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশী ইউএস বাংলা বিমানে সিলেটের রাগিব-রাবেয়া মেডিকেলের ১৩ জন প্রবাসী যাত্রী ছিলেন। ঘটনার প্রথম দিকেই তাদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে এমন সংবাদ বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছিল।

    আহত এবং নিহতদের তালিকা প্রকাশের পর জানা যায় সিলেটের রাগিব রাবেয়া মেডিকেলের ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন ছাত্রী বেঁচে আছেন। তারা কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    সোমবার দুপুরে এই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাতে জীবিত ৯ বাংলাদেশিসহ ১৯ যাত্রীকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে ইউএস বাংলা বিমান কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় সিলেটের রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সি ধামি, সামিরা বায়জানকার নামের দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন।

    জালালাবাদ মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, সিলেটে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত শিক্ষার্থীদের সহপাঠি ও নেপালে থাকা তাদের স্বজনদের বরাত দিয়ে এ তথ্যটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। শিপলু বলেছেন- ‘প্রথম দিকে ১৩ শিক্ষার্থীর প্রাণহানির শঙ্কা করা হলেও জানা যাচ্ছে আমাদের কলেজের ২ জন শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন। তাদেরকে নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

    দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবেদ হোসেন। তিনি বলেন তন্মধ্যে ১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ও ২ জন ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা সবাই ১৯ তম ব্যাচের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী। কিছুদিনের মধ্যে তারা এমবিবিএস সনদ প্রাপ্তির কথা ছিল। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করেই তারা নিজেদের দেশে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ছুটি কাটাতে রওয়ানা দিয়েছিল।

    আবেদ হোসেন জানান, নিহতরা সবাই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের দেশ নেপালে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। নেপাল পৌছার পরই এ দুর্ঘটনার স্বীকার হলেন তারা।

    উল্লেখ্য, ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ইউএস বাংলার ওই বিমানে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪জন ক্রু ছিলেন।