বিচারপতি এস কে সিনহাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে মণিপুরী সম্প্রদায়

    0
    245

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ফেব্রুয়ারী,শাব্বির এলাহীঃ  মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামের কীর্তিপুরুষ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা (সুরেন্দ্র কুমার সিংহ)-কে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনসহ পুরো জেলাবাসী। প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটাই তার প্রথম কমলগঞ্জ সফর। আজ শুক্রবার তিনি কমলগঞ্জে আসছেন। গোটা এলাকায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বাংলাদেশের বৃহত্তর মণিপুরী সমাজ (বিষ্ণুপ্রিয়া, মৈতৈ ও পাঙাল) এর পক্ষ থেকে আজ বিকেলে রানীরবাজারস্থ দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় তাঁর আগমন উপলক্ষে বেশ কয়েকটি তোরণ নির্ম্মাণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর মণিপুরী পল্লীর প্রবেশদ্বারে মণিপুরীদের সম্পূর্ণ সামাজিক রীতি অনুযায়ী ১কি:মি: এলাকা জুড়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে শত শত মনিপুরী তরুণ-তরুণী ফুল ছিটিয়ে তাঁকে বরণ করে নিজ বাসভবন ‘আশীর্ব্বদ’ গেট পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এরপর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টচা পর্যন্ত অভ্যর্থনা মঞ্চে মণিপুরী পালা কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টা থেকে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বিষ্ণুপ্রিয়া, মৈতৈ ও পাঙাল সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে অনুষ্ঠিত অভ্যর্থনা শেষে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ও মণিপুরী থিয়েটারের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
    অভ্যর্থনা কমিটির আহবায়ক সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ এর উপাধ্যক্ষ ডা. নন্দকিশোর সিংহ জানাতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অভ্যর্থনা জানাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত থাকবেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে তিনটি মণিপুরী সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্যদের মধ্যে প্রধান বিচারপতির সহধর্মিনী সুষমা সিনহা, বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজ, পুলিশ সুপার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকবেন।
    অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য সচিব বিশ্বজিত সিংহ জানান, অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন হলো ৪ মণ ওজনের রাজঘন্টা বাজানো। প্রায় সাড়ে ৪শত বছর পূর্বে রাজ পরিবারে বাজানো এই রাজঘন্টা। প্রধান বিচারপতির অভ্যর্থনাকে কেন্দ্র করে তিনটি মণিপুরী সম্প্রদায়ের মিলনমেলা উৎসবে পরিণত হবে।