বিক্রি না হওয়ায় মাটিতে পুতে দিচ্ছে কুরবানির চামড়া

    0
    250
    এম ওসমান, বেনাপোলঃ যশোরের শার্শা উপজেলায় এবছর দাম কম হওয়ায় কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। অনেকে বিক্রি না করে মাটিতে পুতে দিয়েছেন পশুর চামড়া।
    মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে শার্শা উপজেলার কুরবানি দেয়া মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে। উপজেলা পশুসম্পদ বিভাগের দেয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী শার্শা উপজেলাতে এবছর সাড়ে ৩ হাজার গরু ও ২৬ শ’ ছাগল কুরবানি করা হয়েছে। কিন্তু কুরবানি দাতারা এবার জবাই করা গরু-ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন । কুরবানির চামড়া বিক্রির টাকা সাধারনত দান খয়রাত করা হয়। গরীব-মিসকিনরা আগে থেকেই দাবী করেন চামড়া বিক্রীর টাকা। তবে এবছর চামড়ার দাম খুবই কম। গ্রামে গ্রামে ক্রেতা ঘুরলেও চামড়ার দাম না থাকায় অনেকে চামড়া বিক্রি না করে মাটির নিচে পুতে দিয়েছে। আবার অনেকে দুরে কোথাও ফেলে এসেছে। কুরবানির দিন থেকে গাছে গাছে ঝুলতে দেখা গেছে চামড়া।
    শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানায় তাদের একটি গরুর চামড়ার দাম ১৪০ টাকা বলার কারনে বিক্রি না করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। একই কথা বলেছেন ইস্রাফিল। মিন্টু চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুতে দিয়েছেন।
    আমিরুল হোসেন নামে একজন চামড়া ক্রেতা জানিয়েছেন, সে ঈদের দিন সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৪০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছিলেন। ছাগলের চামড়া কিনেছেন ২০ টাকা করে। সে এসব চামড়া বাগআঁচড়া বাজারে চামড়ার আড়তে বেঁচতে গেলে তারা নেয়নি। এরপর সে গয়ড়া বাজারে এক আড়তে লোকসানে কিছু চামড়া বিক্রি করে এবং বাকী চামড়াগুলি মাঠের ভেতর ফেলে রেখে আসে। সীমান্তে বিজিবির ব্যাপক নজরদারীর কারনে ভারতে চামড়া নিতে পারেনি কালোবাজারীরা। যার ফলে চামড়া নিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে এলাকার মানুষদের।