পুলিশের করা সাতটি মামলায় আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে মওদুদ আহমদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতাকে।
অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্মমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
রোববার দুপুরের পর এই আট নেতা ঢাকার হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
তাদের সঙ্গে আবেদন করেন অন্য মামলায় কারাগারে থাকা যুগ্মমহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও রুহুল কবির রিজভীও। আমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সাতটি মামলায় তিন হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানানো হয় বলে বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান।
শুনানির পর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও আসাদুজ্জামান নূর জামিনের সব আবেদন খারিজ করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মওদুদ জামিনের আবেদনে তার চিকিৎসার বিষয়টি উল্লেখ করে বিমান টিকিটও দেখিয়েছিলেন।
এই সাতটি মামলার মধ্যে তিনটিতে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
মামলা তিনটির মধ্যে দুটি পল্টন থানার এবং একটি শাহজাহানপুর থানার।
গত ২ মার্চ বিক্ষোভ মিছিলের সময় সংঘর্ষ এবং গাড়িতে আগুন ও ভাংচুরের অভিযোগে মামলাগুলো হয়।
পল্টন থানায় দ্রুতবিচার আইনে করা মামলায় ফখরুল, মওদুদ, গয়েশ্বর, আমান, নোমান, আলালসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
একই থানার অন্য মামলায় মওদুদ, গয়েশ্বর, আব্বাস, আমান, আলালসহ ৪৪ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
শাহাজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল, মওদুদ, আব্বাস, নোমান, আলালসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় অভিযোগপত্র।