বাশঁকল উচ্ছেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারনের দাবীতে ফের ৭২ঘন্টার ট্রাক কর্মবিরতী

    2
    297

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাঁশ কল ও উপজেলা নির্বাহীর অপসারনের দাবীতে ৩য় দিনে নতুন মাত্রায় রোববার পর্যন্ত ৭২ঘন্টার কর্মবিরতী ঘোষনা দিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন। রোববার নতুন কর্মসূচী ঘোষনা দিবে শ্রমিক সংগঠন।

    সরেজমিনে অনুসন্ধান সূত্রে যানাযায়- ভারত হতে আমদানীকৃত এলসি পাথর থেকে খাঁস কালেকশনের নামে স্থানীয় জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বাঁশ কল স্থাপন করে দেশ-বিদেশী ট্রাক বিগত বৎসরের ২৮ নভেম্বর হতে ১টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। এনিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দালাল চক্রের সহায়তায় বিভিন্ন ভাবে ব্যবসায়ীদের মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। সম্প্রতি চাঁদা বন্দের দাবীতে সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের জৈন্তাপুর ট্রাক চালক আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আব্দুন নুর উরফে নুরু মিয়ার নেতৃত্বে জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট আঞ্চলিক শাখাদ্বয়ের কয়েক শতাধিক শ্রমিকরা গত ৮এপ্রিল সকাল ১০টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের চাংঙ্গীল এলাকায় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহীর বাঁশ কলটি ভেঙ্গে দেয়। এসময় তারা বাঁশকাল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদুর রহমানের অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং সারাদেশ থেকে আগত ট্রাক গুলো অবরোধ পড়ে। এদিকে ট্রাক শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবীতে আন্দোলনে নামায় তাদের সাথে একাত্ত্বতা ঘোষনা করে তামাবিল কয়লা, চুনাপাথর ও পাথর আমদানী কারক সমিতি, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট ট্রাক মালিক সমিতি, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট ষ্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি সহ এলাকাবাসী। এঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দল বিভাগীয় কমিশনার কাছে বিষয়টি অবহিত করেন এবং ট্রাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা উত্থাপন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এডিশলান কমিশনারকে প্রধান করে ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ৯এপ্রিল রাত ১০টায় তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন কালে ৪৮টি এসসি পাথর বোঝাই ট্রাকের মধ্যে ৩৮টি ট্রাকে (আমদানীকৃত এলসি পাথর) থেকে ১টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন প্রমান পায়। অপরদিকে কমিটির সদস্য এডিশলান কমিশনার সহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগোর উপ-পরিচালক ড.সুভাস চন্দ্র বসু। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাত ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় জৈন্তাপুরে বসে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি জানায় তারা এ বিষয়ে যতেষ্ট প্রমানাধি পেয়েছেন। আগামী ৩২ঘন্টার মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় রির্পোটের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেন জানান।

    এদিকে ট্রাক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত তাদের কর্মসূচী শিথিল করে পাথর বোঝাই সকল দেশি-বিদেশি ট্রাককে রয়েলিট্রি মুক্ত ভাবে ছাড়িয়ে নেয়। অন্যদিকে বাঁশকাল ও উপজেলা নির্বহীর অপসারনের দাবীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাথর নিতে আসা ট্রাক গুলোকে আগামী ৭২ঘন্টার কর্মসূচী শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রকার পাথর লোড বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। এদিকে রোববার পর্যন্ত জৈন্তাপুর গোয়াইনঘাট অঞ্চলে সকল প্রকার পাথর লোড-আনলোড বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হওয়ার মাইকযোগে প্রচার প্রচারানা চলছে।

    জৈন্তাপুর উপজেলা ট্রাক চালক আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি নুরু মিয়ার, ১৭পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও সিলেট জেলা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সচিব আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, জাফলং মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত, সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, সিলেট জেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু সরকার, জৈন্তাপুর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি এখলাছুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দরা বলেন- সিলেট তামাবিল মহাসড়ক হতে অবৈধ্য পন্থায় স্থাপিত বাঁশকলটি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদুর রহমান অপসারন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যহৃত থাকবে। এছাড়া আগামী রোববার সন্ধ্যায় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে সেই সমাবেশ থেকে পরবর্তীতে দেশবাসীকে নিয়ে কাঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।