বাবার সহযোগিতায় ছেলে কর্তৃক ধর্ষণ ! সূত্র বলছে ভিন্ন কথা

    0
    211

    নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ থেকে: বানিয়াচংয়ে এক তরুণীকে (১৭) রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার জন্য ছেলের হাতে তুলে দিলেন বাবা। এ সময় ওই তরুণীকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এরপর রাতভর ধর্ষণ করে ছেলে এমন অভিযোগ উঠলেও একটি সূত্র বলছে ভিন্ন কথা।
    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রোববার বিকেলে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। বানিয়াচং উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ- মাঝে মধ্যে সে বোনের বাড়ি একই উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের বেড়াতে যেতেন। এ সময় ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে সজিব মিয়া (২২) তাকে উত্ত্যক্ত করত। গেল কয়েকদিন আগে সে আবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় সজিব মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় সেখানে কেউ না থাকার সুবাধে সজিব মিয়ার বাবা শাহাব উদ্দিন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পরে তার ছেলে সজিব মিয়াকে বিয়ে করার জন্য জোর করা হয় ওই তরুণীকে। এতে রাজি না হওয়ায় বাবা-ছেলে মিলে তাকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তরুণীকে ছেলের হাতে তুলে দিয়ে শাহাব উদ্দিন ঘর থেকে বের হয়ে যান। রাতভর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সজিব।

    এদিকে, ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজে পাননি। এক পর্যায়ে রোববার দুপুরে শাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতলে ভর্তি করেন। বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় পাশবিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী হাসপাতালের বিচানায় কাতরাচ্ছেন।

    তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে ভিন্ন কথা- ধর্ষণের শিকার তরুণীর সাথে অভিযুক্ত সজিব মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে বিয়ের দাবিতে ওই তরুণী সজিবের বাড়িতে অবস্থান নেন। এ সময় সজিবের পরিবারের লোকজন তাদের মারপিট করে তাড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু ওই তরুণী না যেতে চাওয়ায় সজিব তার রুমে নিয়ে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একটি সূত্র জানায় বিষয়টি প্রেমঘটিত হলেও মেয়েটি সেই সুযোগ নিয়েছে।

    এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন- ‘বিষয়টি আমরা বিকেলে জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী তরুণী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’