বানিয়াচংয়ে দোকানের টাকা পুড়ে গেলেও পুড়েনি মসজিদের টাকা

    0
    406

    নূরুজ্জামান ফারুকী বিশেষ প্রতিনিধি: শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বানিয়াচংয়ের স্থানীয় বড় বাজারে পাহারাদারদের চিৎকারে জেগে ওঠে সদ্য ঘুমন্ত বাজার বাসী। শুরু হয় তাদেরও চিৎকার। দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে আতঙ্কগ্রস্থ মানুষ। রাত ১টা। ইতিমধ্যে ইবনেসিনা ফার্মেসিসহ ১৪টি দোকানের অধিকাংশ পুড়ে গেছে।

    খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এবং নবীগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন দমকল কর্মীরা।

    অনন্য দোকান বেঁচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে বানিয়াচংয়ের আকাশ বাতাস। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী অনুযায়ী এই আগুনে ১৪টি দোকানের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি পুড়ে যায় বড়বাজারের অন্যতম একটি ওষুধের দোকান ইবনেসিনা ফার্মেসি। ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি খালেদ মিয়া জানান,  তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা।

    ওষুধের পাশাপাশি তার দোকানে ক্যাশে রাকা কিছু নগদ টাকাও পুড়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল-সেখানে ব্যবসার টাকার পাশাপাশি একটি মসজিদের কিছু আমানত টাকা রাখা ছিল। দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অক্ষত ছিল মসজিদের গচ্ছিত টাকা। খালেদ মিয়ার কাছে রাখা মসজিদের ৪ হাজার ২শ’ ২০ টাকার মধ্যে একটি নোটও পুড়েনি বলে দাবি করেন তিনি। রবিবার সকালে ছাই খুঁড়াখুঁড়ি করে মসজিদের টাকা অক্ষত অবস্থায় পান বলে জানান দোকানের মালিক।

    তিনি জানান, আমার দোকানে ব্যবসার কিছু টাকাসহ একটি আলাদা বান্ডিলে রাবার পেছিয়ে মসজিদের ৪ হজার ২শ’ ২০টাকা রেখেছিলাম। ওষুধসহ অন্যান্য টাকা পুড়ে গেলেও পুড়েনি মসজিদের টাকা।

    বানিয়াচং সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দাল হোসেন খান সিলেটভিউকে বলেন, ইবনেসিনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি খালেদ ভাই আমানতদারী হিসেবে একজন স্বচ্ছ মানুষ। এটি তারও একটি উদাহারণ। তার কাছে গচ্ছিত মসজিদের আমানত রক্ষা করার জন্যই হয়ত আল্লাহ্তায়ালা ওই টাকা অক্ষত অবস্থায় রেখেছেন।