বানিয়াচংয়ে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজী নিহত

    0
    196

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৯মে,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে চাচার লাঠির আঘাতে স্কুলে পড়ুয়া এক ভাতিজী খুন হয়েছে।
    সে উপজেলা সদর ১ ইউনিয়নের সাউথপাড়া গ্রামের মোতালিম মিয়ার মেয়ে মার্জিয়া (১০)। সে স্থানীয় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
    এ সময় নিহতের পিতা মোতালিম মিয়া ও মাতা ফাতেমা খাতুন আহত হন। গুরুতর আহত মোতালিম মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    জানা যায়, মোতালিম মিয়ার সাথে তার ভাই মোতাব্বির মিয়ার ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরুধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় উভয় পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোতাব্বির,দুদুমিয়া,মতিন মিয়া উত্তেজিত হয়ে মোতালিম ও তার পরিবারের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র,দা,লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
    এসময় মোতাব্বির মিয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শিশু মার্জিয়ার মাথায় আঘাত করে। লাঠির আঘাতে শিশু মার্জিায়া মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশু মার্জিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।
    নিহতের পিতা মোতালিম কোমড়ে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে সিলেট এসএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের মা ফাতেমাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
    নিহতের বোন ছাবিনা জানান, তার চাচা মোতাব্বির,দুদু ও মতিনের সাথে আমাদের বসত ভিটা নিয়ে বিরুধ ছিল। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া শালিসের মাধ্যমে বিরুধ মিমাংশা করে দেন। কিন্তুু শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিরুধীয় ভিটায় এমারত নির্মাণ করে তারা।
    সাবিনা আরও জানান, তার চাচারা প্রচুর ধন সম্পদের মালিক। অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই প্রতিনিয়ত আমাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তারা।
    এদিকে ঘটনাস্থল সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান মোতাব্বির ও তার ভাইরা এলাকার বিচার পঞ্চায়েত মানেনা। তারা ভূমি খেকো। বিচার অমান্য করে মোতালিবের পৈত্রিক ভিটেতে বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। সরকারী খাল দখল করে ৩ তলা বিশিষ্ট এমারত তৈরী করেছে।
    সরজমিনে দেখা যায় ঘাতকদের ঘরে তালা জুলছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতকরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সবাই পলাতক রয়েছে।
    এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটকেরও খবর পাওয়া যায়নি।