বাজারে সাদাসিদে পালন করা গরুর চাহিদা বেশি

    0
    219

    “এই মুহুরতে  বি ,বাড়িয়া থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় ট্যাংকার পাড় বাজারে এক গরুর রশি নিয়ে ৫/৬ জনে টানা টানি করছে

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে  গরুর দাম নিম্নমুখী থাকলেও সোমবার সকালের পর তা ঢাকার বাজারে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি সাইজের দেশি গরুর দাম বেড়ে যায়। ব্যাপারীদের হতাশ করে গত ৩ দিন রাজধানীতে গরুর দাম নিম্নমুখী থাকলেও গত সোমবার সকালের পর তা হু হু করে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি সাইজের দেশি গরুর দাম এক লাফে ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে উঠে । হাটে হাটে দেখা গেছে গরু সঙ্কট। এজন্য ব্যাপারীর গত কয়েকদিনের নিম্নমুখী দামকে দায়ী করলেও ইজারাদাররা বলছেন, পথে পথে বিপুলসংখ্যক গরু বোঝাই ট্রাক আটকে থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
    দুপুরের পর বাজারে ক্রেতার ঢল নামলেও সে তুলনায় গরুর সরবরাহ না থাকায় অনেকেই এ হাট থেকে ও হাটে ছুটে বেড়িয়েছেন। হঠাৎ করে দাম চড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় খালি হাতেই বাসায় ফিরে গেছেন। তবে শেষ সময়ে দাম আরো চড়তে পারে এ ভয়ে কেউ কেউ চড়া দামেই গরু কিনে নিয়েছেন।
    হাট ইজারাদাররা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দাম পড়তে থাকায় ব্যাপারীদের অনেকেই ঢাকা থেকে গরু সরিয়ে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ঢাকাগামী গরুর ট্রাক সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন হাটে থামিয়ে সেখানেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরুর টান পড়তে শুরু করে। এ সুযোগে ব্যাপারীদের অনেকেই তাদের গরুর চড়া দাম হাঁকেন। এর পরপরই ঘুরে যায় গোটা বাজার পরিস্থিতি।ঢাকার ইজাদারদের ধারণা, আরো বেশকিছু গরু বাজারে আসবে। তখন দাম আবার কিছুটা পড়বে। তবে গত কয়েকদিনের মতো দাম তেমনটা পড়বে না বলে মনে করেন তারা।
    যদিও ব্যাপারীদের আশা দাম আর পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং শেষ সময়ে গরুর দাম অনেকটা চড়বে। গরু সঙ্কটের কারণে সাধ ও সাধ্যির সমন্বয় ঘটাতে না পারার কারণে অনেকের কোরবানি দেয়া না-ও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।এদিকে গরুর দাম চড়ায় ক্রেতারা হতাশ হলেও দারুণ খুশি  ঢাকার ব্যাপারীরা। বিকালের পর তাদের অনেকেই পড়িমরি করে ছুটে গেছেন আরো গরু আনতে। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই নৌপথে নৌকা বা ট্রলারে গরু আনার কথা ভাবছেন। তবে স্বল্প সময়ে এ পথে তা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও ব্যাপারীরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

    এছাড়া দেশীয় গরু পরিবহনে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছেন ব্যবসায়ীরা। গরু পরিবহনের সময়ে প্রতিটি ট্রাক থামিয়ে সরকারের দলের নামে অনেক ক্যাডার বাহিনী ছাড়াও হাইওয়ে পুলিশও চাঁদা আদায় করেছেন। এতে পরিবহন খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় নিম্নমুখী বাজারে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি বেড়েছে। যদিও শেষ সময়ে সৌভাগ্যবান ব্যাপারীদের কেউ কেউ তা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

    এদিকে বৃহত্তর সিলেটের শ্রীমঙ্গল গরুর হাঁটে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর গরু এসেছে। পাইকারদের সাথে কথা  বলে জানা যায় এখানে গরুর দাম কম উঠছে, আজ ও যদি বাজার না চড়ে তা হলে তাদের পূঁজি বাঁচানো সম্বব হবে না বলে তাদের ধারনা । অন্য দিকে ক্রেতারা বলছে গরুর দাম বেশি। যদি বাজারের অবস্তা ভাল না হয় তাহলে ছোট কাটো খামারিরা সব চেয়ে বেশি ক্কতিগ্রস্ত হবে বলে  স্তানিয় খামারিরা জানান। এ বৎসর কৃষকদের সাদাসিদে ভাবে পালন করা গরুর চাহিদা বেশি বলে ক্রেতা ও খামারিরা অভিযোগ করেন।