বাগমারাসহ সারাদেশে এখন আর জঙ্গিবাদ নেই : প্রধানমন্ত্রী

    0
    240
    “খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন  উনি উর্দু ও অংকে পাশ। অংকে পাশ করবেন জানি। কারণ দুর্নীতির টাকা তিনি বেশি গোনেন। আর উর্দুতে পাশ করেছেন এজন্য যে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না”

    আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর.কম ০৫ সেপ্টেম্বর  : জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে বর্তমান সরকারের ভূমিকার বর্ণনা দিয়ে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাগমারা এখন আর সন্ত্রাসের জনপদ নয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হবে দাবি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আজ বিকালে রাজশাহীর বাগমারার দেউলায় এনা পার্ক মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এ জনসভাগে ঘিরে ওই এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে। এটা দেশের মানুষ চায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ফিরে আসবে। তাই শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যে আবার নৌকা ভোটি দিন। বক্তব্যের শুরুতেই ‘বিএনপির মদদেই বাগমারায় জঙ্গিদের উত্থান হয়েছিল’ দাবি করে বাগমারায় জঙ্গিদের হাতে নিহত ২২ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ। বিএনপি জঙ্গিদের মদদ দিয়ে বাগমারাকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিল। তিনি বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই বাগমারাসহ সারাদেশে আর জঙ্গিবাদ নেই, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর জঙ্গিবাদ চায় না। দেশের মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। বাংলা ভাই আবার আসুক দেশের মানুষ তা চায় না।বিরোধীদলীয় নেতা দেশের ছেলে-মেয়েদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনি উর্দু ও অংকে পাশ। অংকে পাশ করবেন জানি। কারণ দুর্নীতির টাকা তিনি বেশি গোনেন। আর উর্দুতে পাশ করেছেন এজন্য যে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না।

    শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে মেয়েদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানান, আর আমরা অস্ত্রের পরিবর্তে বই তুলে দেই। মানুষ যায় সামনের দিকে আর উনি যান পিছনের দিকে। কথায় আছে ভূতের পা নাকি পিছনে। দেশকে উনি পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
    তার সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে একজন দিনমজুর একদিনের মজুরি দিয়ে এক কেজি চাল কিনতে পারত না। কিন্তু এখন ১০ কেজি কিনতে পারে। এখন মানুষ শান্তিতে আছে আর এটা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। তাই আবার কী করে দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেজন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে।
    এর আগে রাজশাহী সেনানিবাসে ইনফ্রেন্টি রেজিমেন্টে পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের পর ইনফ্রেন্টি রেজিমেন্টের শহীদ সদস্যদের স্মৃতিরক্ষার্থে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
    রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্রেন্টি রেজিমেন্টের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ ব্যাটালিয়নকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি রাজশাহী সেনানিবাসে নবনির্মিত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণ ও আওয়ামী লীগের গৌরবময় ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণের লক্ষে বাগমারার ভবানীগঞ্জে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।