বাউরী টিলা ও তৎসঙ্গলগ্ন ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার আবেদন

    0
    370

    এম আহমদ টিএন্ড ল্যান্ড কোম্পানীর হুমকী অব্যহত

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ অজানা আশংঙ্কায় বাউরী টিলাবাসী, ভূমি বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন, এম.আহমদ টিএন্ড ল্যান্ড কোম্পানীর হুমকী।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় হতে জৈন্তাপুর উপজেলার ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নের কামরাঙ্গীখেল দক্ষিন, নয়াখেল উত্তর, নয়াখেল পূর্ব, ভিত্তিখেল উত্তর এর ভুমি হীন বাসিন্ধরা জৈন্তাপুর উপজেলার দক্ষিণ কামরাঙ্গীখেল মৌজার ৫৫নং জেএলস্থিত বর্তমান জরীপি ছাপা ১/১নং খতিয়ানের পাক জরিপি হালের ২৭১নং দাগের বর্তমান জরিপি ছাপা ৫৪৫নং দাগ এবং ২৭৯নং দাগের বর্তমান জরিপি ছাপা ৫৪৯নং দাগ মোট ২৩.১৯ একর ভুমি ভোগ দখল করে বিভিন্ন প্রজাতের কৃষি ফসলাদি ফলাইয়া পরিবার পরিজন নিয়া বসবাস করে আসছেন। বিগত কয়েক যুগ হতে তাদের দখলিয় ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে আসছেন।

    এদিকে এম.আহমদ টি এন্ড ল্যান্ড কোম্পানী এই ভূমি বন্দোবস্থ না নিয়েই জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভূমির ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে বিগত ২০১৬ সনের ২৪শে ডিসেম্বর উচ্ছেদের নামে আমাদের ফসলী ভূমি এবং সৃজিত ফল বাগান বাড়ীঘর, বৃক্ষরাজী ধ্বংস করে। ফলে বাউরীটিলার বাসিন্ধাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। বাউরী টিলাবাসীর দাবী যেহেতু সরকারের নিকট হতে বাগান কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থায় বর্তমান জরিপি ৫৪৫ এবং ৫৪৯ নং দাগের কোন বন্দোবস্থ নাই কিংবা কোন কাগজপত্র কিংবা তাদের দখল দেখাতে পারেনি। দখল দেখানোর নামে প্রশাসনকে ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে আমাদের ক্ষতি সাধান করে। বর্তমানে আমরা ভূমি দখলে আছি এবং এই ভুমির প্রায় ১৫ একর ভূমিতে বোরো ধান চাষ করি।

    এছাড়া অন্যান্য ভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল ফলাচ্ছি এবং টিলা রকম ভূমি কলা, সুপারী, কাঠাল, আম, জাম আনারস সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করে পূরনায় বাগান সৃজন করে আসছি। কিন্তু চাবাগান কর্তৃপক্ষ ফের আমাদের নানা ভাবে মামলা হামলা এবং সৃজিত বাগান ধ্বংসের হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। আমাদের দখলিয় ২৩.১৯ একর ভূমি বন্দোবস্থ পাওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ ৩৪টি পরিবার গত ২ এপ্রিল ১৮ তারিখে পূনরায় সরকারি খাঁস কৃষি এবং অকৃষি ভূমি ভূমিহীন নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করি।
    সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় বাউরীটিলা পূর্বের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৩৪টি পরিবার নানাবিধ ফসল, বোরো ধান সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফসল আবাদ করে আসছে। তারা জানায় বাগান কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদের নামে আবারও তাদের ফসল হানির জন্য নানা ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের জোর দাবী তাদের দখলিয় ভূমি টুকতে বাগান কর্তৃপক্ষ কোন দিনই দখলে ছিল না। যেহেতু আমরা পূর্বপূরুষ হতে এই জমি ভোগ দখল করে আসছি তাই ভূমিহীন নীতিমালা অনুযায়ী আমাদেরকে ভূমিটুক বন্দোবস্ত দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মর্জি হবে।
    এবিষয়ে জানতে ৩নং চারিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আপলম চৌধুরী তোফায়েল বলেন- আমার জানা মতে বাগান কর্তৃপক্ষ কিংবা যাহারা দাখলদার তাদের কাহারো নামে এই বন্দোবস্ত নহে। বাগান কর্তৃপক্ষ কখনও এই ভূমিতে দখলে ছিল না। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হতে এলাকাবাসীরা এই ভূমি কৃষি ফসল ফলিয়ে ভোগদখলকার হিসাবে আছে। ২০১৬ সনে বাগান কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালিয়ে এলাকারজন সাধারনের ক্ষতি সাধন করে। ভুমিহীন দখলদারদের কথা চিন্ত করে এবং তাদের আবেদন বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ জানান।
    এবিষয়ে জানতে উপজেলা নিবাহী অফিসার মৌরিন করিম বলেন- উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ হতে কোন আদেশ আসেনি। যদি আদেশ পাই সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব। এছাড়া বাস্তবে যদি ভূমিহীনরা দখলে থাকে এবং সরকার কাউকে বন্দোবস্ত না দেয় তাহলে সার্বিক দিক বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।