বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদ

    0
    332

    বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিনা উসকানিতে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দূতকে ডেকে নিয়ে মৌখিক প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তার হাতে একটি কূটনীতিক পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

    গত শুক্রবার ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্টে গত কয়েক দিনে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। সন্দেহজনক এসব তৎপরতা বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

    মিয়ানমার ও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্দেহজনক গতিবিধির মাধ্যমে এ সেনাসমাবেশ দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরুর প্রাথমিক পর্বে এভাবেই সেখানে সৈন্যদের জড়ো করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে ১১ তারিখ ভোরে শুরু হওয়া সেনাসমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, চেকপোস্টে হামলার দাবি তুলে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরু হয়।

    জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে কা নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া- দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের এ তিন পয়েন্টে ট্রলার থেকে সৈন্যরা নেমেছেন। এর সীমান্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে অন্তত একটির দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্তের ২০০ মিটারের মধ্যে। ওই তিন পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারের কাঠের নিচে বসিয়ে সৈন্যদের জড়ো করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে অন্তত এক দিনেই এক হাজারের বেশি মিয়ানমারের সৈন্যদের আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।