বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেলঃশিল্পমন্ত্রী

    0
    211

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪এপ্রিলঃ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে ধারাবাহিকভাবে নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, সেখানে অব্যাহতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশ্লেষক বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে শিল্পখাতে শ্রমের অবদান প্রতিবছর শতকরা ৩ দশমিক ১৭ হারে বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    শিল্পমন্ত্রী আজ শুক্রবার তৃতীয় জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৪ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন পাঁচদিন ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সৈয়দ ইনসানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এতে মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
    আজ থেকে শুরু হয়ে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত দেড়শ’ জন উদ্যোক্তা স্টল দিয়েছেন। এসব স্টলে পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশন ওয়্যার, হস্তশিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, গৃহস্থালী দ্রব্য, প্লাস্টিক ও সিন্থেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যসহ এসএমইখাতে উৎপাদিত অন্যান্য দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। সকলের জন্য এই মেলা উন্মুক্ত এবং কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না।
    শিল্পমন্ত্রী বলেন, আলোকিত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ পূরণ বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারাই হচ্ছে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। শিল্পায়নের জন্য তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভা ও কৌশল কাজে লাগাতে হবে। তিনি এ লক্ষ্যে উদ্যোক্তাবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের প্রতি পরামর্শ দেন। এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    অনুষ্ঠানে  অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের মোট ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি লোক বেকার। তাদের জন্য সরকারিভাবে চাকুরির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে বেকার জনগোষ্ঠিকে শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ রয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন। বক্তারা আরো বলেন, উৎপাদিত এসএমই পণ্য বাজারজাতকরণ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে একটি অন্যতম সমস্যা। এর সমাধানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন একটি কার্যকর উদ্যোগ। তারা পণ্য বিপণনের জন্য ম্যাচ-মেকিং কর্মসূচি আয়োজন, তথ্যসেবা প্রদান, ই-ক্যাটালগ ও ওয়েবসাইট নির্মাণে সহায়তাদানসহ এসএমইখাতে বিভিন্ন উন্নয়নধর্মী কর্মসূচিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। ইতোমধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে উদ্যোক্তাদের জন্য ৫শ’ ওয়েবসাইট নির্মাণ ও ই-ক্যাটালগ তৈরি করা হয়েছে বলে  উল্লেখ করেন।