বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জাতীয় কাউন্সিল”১৫” সম্পন্ন

    1
    411

    “এম,এ,মান্নান  সভাপতি, মাওলানা মতিন সাধারণ সম্পাদক”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২আগস্টঃ  বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সুন্নী জনতার সমর্থিত রাজনৈতিক সংগঠন। ওই সংগঠনটি সুস্থভাবে পরিচালনার জন্য বিরূপ আবহাওয়ায় সারা দেশ থেকে আগত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাড়ম্বরে জাতীয় কাউন্সিল-২০১৫” আজ রোববার  রাজধানী ঢাকাতে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    "এম,এ,মান্নান ও মাওলানা মতিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নেতৃবৃন্দ"
    “এম,এ,মান্নান ও মাওলানা মতিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নেতৃবৃন্দ”

     আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আতের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র জাতীয় কাউন্সিল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সকল শাখা হতে আগত সংগঠনের নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন কক্ষ সকালেই পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।

    পবিত্র কুর’আন পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত অতিথি, ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কেন্দ্রীয় বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    বিদায়ী  চেয়ারম্যানের ভাষণের মধ্য দিয়ে পূর্বতন কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করার পর যোহর নামায  শেষে  দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠের পর এর উপর গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন জেলা নেতৃবৃন্দ। পরে আল্লামা এম.এ মান্নানকে চেয়ারম্যান, এম.এ মতিনকে মহাসচিব এবং আ.ন.ম মাসউদ হোসাইনকে সাংগঠনিক সচিব করে বহুল আকাঙ্খিত নতুন কমিটি ঘোষিত হয়।

    উল্লেখ্য, একটি সুত্রে জানা যায়,কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে অামন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের  সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মুখপাত্র আসাজাদুজ্জামান কামাল।বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ঘোষিত ১৪ দফা প্রস্তাবনার অন্যতম প্রস্তাব “জংগিবাদ ও নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়াতে হবে” এ প্রস্তাবের একাংশের সাথে দ্বিমত পোষন করে বিএনপির ওই নেতা  বলেন, দেশে সরকারের মদদে নাস্তিক্যবাদের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ছে তাই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে, আর দেশে কোন জংগি নাই,সরকার নিজেই জংগিবাদের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।তাই সরকারের ফাদে পা না দিতে সে সতর্ক করে।

    বিএনপির মুখপাত্র আসাজাদুজ্জামান কামালের এই বক্তব্যে কাউন্সিলে  বেশ  উত্তজনা দেখা দেয়।তার পরেই বক্তব্য রাখেন-সাইফুদ্দিন হাসান মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন,আমরা রাজনৈতিক ভাবে খুব শক্তিশালী না হলেও আমরা দেশ সম্পর্কে সচেতন।সারা দেশে আমরা যেখানে সেখানে যাই-কোন রাজনৈতিক নেতারা সেখানে যায় না,মানুষ আমাদের কাছে যে সমস্যা নিয়ে আসে এবং সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে যায় কোন দলের নেতার কাছে মানুষ এভাবে আসেনা।সুতরাং আমরা জানি কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা।কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক এদেশে উগ্রবাদী বা জংগিবাদীর উৎপত্তি বা বিস্তার অস্বীকার করা যাবেনা।খুব বেশি দূরে নয়,কিছুদিন আগেই হেফাজতিদের তাণ্ডব এখনও ভুলেনি  দেশের সাধারণ মানুষ।

    একই বিষয়ে্র প্রতিবাদে ইসলামী ফ্রন্ট নেতা  স,উ,ম আব্দুস সামাদ  তার বক্তব্যে বলেন,আফগানিস্তান থেকে অনেকেই ট্রেনিং নিয়ে দেশে জংগিবাদ উত্থানের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।আর কওমি মাদ্রাসাগুলো জংগি প্রজননকেন্দ্রে পরিনত হচ্ছে।সুতরাং আজকের কাউন্সিলের অন্যতন প্রধান প্রস্তাবনা হচ্ছে- “জংগিবাদ ও নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়াতে হবে”।তার এই বক্তব্যকে  উপস্থিত নেতাকর্মী ও সকল ডেলিগেটরা দুহাত তুলে  সমর্থন জানান।