বন্ধুদেরকে ধর্ষণের সুযোগ না দেয়ায় প্রেমিকাকে খুন,রহস্য উদ্ধার

    0
    225

    এস এম সুুলতান খান,চুুুুনারুঘাট থেকে: চুুুুনারুঘাটে সুুুমী রানী হত্যার ৩৯দিন পর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে। আদালতে ঘাতক প্রেমিক আলমগির হত্যার দায় স্বীকার করে। সে রাজিউড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে। এর দেয়া তথ্যমতে ঘটনার সাথে জড়িত একই ইউনিয়নের আকদপুর মৃত ধলাই মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরেণ করা হয়। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই জাহাঙ্গীর কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান আটক আলমগীর হত্যার মুল নায়ক। আলমগীর আদালতে জবান বন্দি দিয়েছে । আলমগীর সীমাকে ওলিপুর তার দোকানে আসার জন্য নিমন্ত্রণ জানায়। নিমন্ত্রণ পেয়ে ঘাতক প্রেমিকের কথা মতে ওলিপুর দোকানে ২ জন দেখা করে তখন আলমগীর পাহারে ঘুরতে প্রলোভন দেয়। তার প্রলোভন পেয়ে সীমা সরল বিশ্বাসে রঘুনন্দন পাহাড়ে ঘুরতে যায়। সেখানে পাহারের চুড়ায় জোরপূর্বক ধর্ষন করে ,পরে তার সহযোগীদের সুযোগ না দেয়ায় শাড়ির আচল পেছিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

    পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সুমা রানীর ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।সুমা রানীর ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সরাইল থানার নিয়ামতপুর গ্রামের বাদল সরকারের সাথে তার বিবাহ হয়। এদিকে স্বামী বাদল সরকারে সাথে বনিবনা হচ্ছিলনা বলে দীর্ঘ সাত মাস যাবৎ পিত্রালয়ে অবস্থান করছিল। এরই মাঝে সুমার সাথে আলমগিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সুবাধে আলমগির গোপনে প্রায়ই সুমার সাথে যোগসাজস করতো। এ ব্যপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান আলমগীর গুরুত্বপুর্ন তথ্য দিয়েছে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে । তিনি আরও জানান আমরা কললিষ্টের সুত্র ধরে বেশ কয়েক জনের নাম ইতি মধ্যে সনাক্ত করেছি। তদন্তের সার্থে এসব আসামীদের নাম বলা যাচ্ছেনা। আমরা হত্যার ৩৯দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।

    আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে জড়িত সকল অসামী গ্রেফতার করে আইনের অওতায় নিয়ে আসতে পারব। সম্প্রতি সে পিত্রালয় থেকে গত ৪ জানুয়ারী সীমা বোনের বাড়ি শৈলজুড়া বেড়াতে এসে নিখোজ হয়। হত্যার দুইদিন পর ৫ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ের মাধবপুর সীমান্তবর্তী এলাকার রতনপুর কবরস্থান সংলগ্ন বেত বাগানের বেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে রাজনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    সুমা রানী সরকার (২৫) এর লাশ দাফন করার ১০ দিন পর সুমার পিতা মাতা চুনারুঘাট থানায় যুবতীর ছবি ও পড়নের কাপড় চোপড় দেখে তার মেয়ে বলে সনাক্ত করেন। পরে ১০ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসন্দা গ্রামের নিরঞ্জন সরকারের স্ত্রী নিহত সুমার মা সন্ধ্যা রানী সরকার আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ধর্মীয় মতে লাশ তুলে সৎকার করার নির্দেশ দেন। নিহত সুমার মা বাদী হয়ে মেয়েকে খুনের অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলাটি নিখুত তদন্তের মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কললিষ্টের সুত্র ধরে একই কায়দায় অপর যুবতীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে আলমগীরকে গ্রেফেতার করে ।