বনপ্রহরীর যোগসাজশে ধ্বংস হচ্ছে কমলগঞ্জের আদমপুর বনবিট

    0
    210

    আমারসিলেট  টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২জুন,কমলগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ    কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি রেঞ্জের অধীন আদমপুর বনবিট থেকে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে মূল্যবান গাছ গাছালি। অব্যাহত ভাবে গাছ চুরির কারনে বনাঞ্চল প্রায় শূন্য হতে চলেছে। প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়ন থেকে গাছ পাচারের সাথে বিটের কর্মরত অসাধূ এক কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বন প্রহরী একই এলাকার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেও শোনা যাচ্ছে।

    গত ১০ দিনে সামাজিক বনায়নের আগর বাগান থেকে প্রায় ১৫ টি মূল্যবান আগর গাছ চুরি হয়েছে। আদমপুর বন বিট কর্মকর্তা শ্যামল দেব আগর গাছ চুরির কথা স্বীকার করে বলেন,সামাজিক বনায়ন থেকে গাছ চুরি রোধে উপকারভোগীদের সহযোগীতা প্রয়োজন।

    আগরসহ মূল্যবান অন্যান্য গাছ পাচারের সাথে জড়িত রয়েছেন ওই বিটে কর্মরত প্রহরী কামাল হোসেন। তার সহযোগীতায় কোন ধরনের বাধা ছাড়াই প্রতিদিন পাচার হচ্ছে হাজার হাজার টাকা মূল্যের মূল্যবান বৃক্ষরাজি। বন প্রহরী হলেও কর্মকর্তার মতোই ক্ষমতা প্রয়োগ করেন কামাল হোসেন। ওই বিটে যেই বিট অফিসার হিসেবে যোগদান করেন তাকে ম্যানেজ করে বা ফাঁকি দিয়ে কামাল হোসেন দীর্ঘ দিন যাবত গাছ পাচার কর আসছেন।

    ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে আদমপুর বিটে কামাল হোসেন যোগদান করার পর স্থানীয় গাছ পাচারকারীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ২ মাস পর ডেপুটেশনে তাকে কামারছড়া বিটে পদায়ন করা হয়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে গাছ পাচারের ব্যাপক অভিযোগ উঠে। ৩ মাস পর আবার তাকে আদমপুর বিটে পদায়ন করা হয়। রাজকান্দি রেঞ্জ অফিসে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্টাফ জানান, রেঞ্জ কর্মকর্তার কারনে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। রেঞ্জ কর্মকর্তা আর কামাল হোসেন একই এলাকার যে কারনে কামালের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ উঠলেও রেঞ্জার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না।

    অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, তিনি কোন ধরনের গাছ পাচারের সাথে জড়িত নয়। রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কামালের প্রতি তার কোন দুর্বলতা নেই। ডিএফও ব্যবস্থা না নিলে তিনি কিছু করতে পারেন না। আর বিশাল বনে গাছ চুরি তো থাকবেই।