ফসলি জমি থেকে জোরপুর্বক মাটি বিক্রি ইটভাটায় !

    0
    306

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২এপ্রিল,চুনারুঘাট থেকে বিশেষ প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ইছাকুটা বাজার সংলগ্ন ধানি ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। ফসলি জমিতে ভেকো মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় এসব জমির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে মাটি কেটে নেয়া ওইসব জমিতে এবার ফসল করতে পারেনি জমির মালিক ।

    ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের অভিযোগ, ইছাকুটা গ্রামের মৃত আব্দু রহমানের পুত্র সাজিদুল হক আব্দুল মাজিদ আব্দুস সালাম রাজন মিয়াসহ একদল ভূমিদস্যু ভেকো মেশিন দিয়ে তাদের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রী করছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। গত কয়েকদিন ধরে জমির মালিক মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে বললে ভূমিদস্যুরা তাদের হুমকি প্রদান করেন করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসহায় মহিলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ইছাকুঠা মৌজার ৭৪ জেএল নং ৪৫৭ নং খতিয়ানের ৩৬০ নং দাগের. ৪০ শতক ভূমি থেকে জোড় পুর্বক মাটি কেটে বিক্রি করে লুটে নিচ্ছে অর্থ।

    এলাকার এক শ্রেনীর স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিদের হাত করে লুটে নিচ্ছে অসহায় মহিলার সম্পত্তির মাটির টাকা। সূত্রে জানা যায় যে সম্পত্তি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, তাহা অসহায় মমহিলার খরিদক্রিত ভূমি যার দলিল নং ৫৯২৭/২০০২। স্থানীয় এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এ বিশাল ভূমিটি গ্রাস করেছ এক শ্রেনীর লোক।এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি লুটেপুটে খাচ্ছে চক্রটি। আজ প্রায় কয়েক দিন থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বিক্রি করছেন। খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য সমাজের মুরুব্বীয়ানদের ধারে ঘুরেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। এদিকে মাটি কেটে নেয়ায় আশে পাশের কৃশি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। ওই এলাকা থেকে ভূমিদস্যুরা স্ক্যাভেটর (ভেকো) দিয়ে ট্রাকের মাধ্যমে স্থানীয় কয়েকটি ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে। ফলে এলাকা সাইটের জমি ও রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যুরা মাসখানেকদিন ধরে ফসলি, কৃষি ও জমির মাটি কেটে পুরো এলাকায় পুকুরে পরিণত হতে যাচ্ছে।

    তাই জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। জমির মালিক নাছিমা বেগম বলেন, আমার বাড়ি ইছাকুটা গ্রামে। সেখানে ভেকো মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়ায় আমার ৪০ শতাংশ জমিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই জমিতে আগামী ১০ বছর কোনো আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাটি কাটা বন্ধের কথা বলায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। উত্তোলনকৃত এসব মাটি বিক্রি করে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা লাভবান হলেও আমার জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই। মাটি কাটার কারনে এসব জমিতে কোনো আবাদ করতে পারিনি।

    অভিযোগ করে বলেন, জোরপূর্বক মাটি কাটা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকের।

    চুনারঘাট থানার ওসি আজমিরুজ্জামান এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাইজার ফারাবী বলেন এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না ।

    এ ব্যাপারে আজ ০২ মার্চ অভিযোগ পেয়েছি তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।