ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগে সত্যতা পায়নি পুলিশ

    0
    254

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫নভেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সে অপহরণ মামলার অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। আদালতে দাখিল করা পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে ভুক্তভোগী ফরহাদ মজহার ও মামলার বাদী তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বর।
    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।

    সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির মামলার আগামী ৭ ডিসেম্বর ধার্য তারিখ রয়েছে। সেদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপর শুনানি হবে।

    আদালত সূত্র বলছে, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন। এতে বলা হয়েছে, ফরহাদ মজহার অপহরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় মামলার বাদী ও ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার এবং ভুক্তভোগী ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের আবেদন করা হয়েছে।

    গত ৩ জুলাই ভোরে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

    নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।আলোকিত বাংলাদেশ