প্রেসনোটের ভাষ্যটি সঠিক নয় : ফখরুল

    0
    507

    বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে এক মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল তার কার্যালয়ে বোমা কিংবা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য রাখে না।

    বিএনপি কার্যালয়ে বোমা উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশের সাজানো নাটক বলে তিনি দাবি করেন।

    কার্যালয়ে অভিযান এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর বুধবার রাতে সরকারি এক প্রেসনোটে বলা হয়, বিএনপি কার্যালয় থেকে বোমা হামলা এবং নাশকতার চেষ্টা করার কারণে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়।

    গত ১১ মার্চ নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণে ১৮ দলের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।এরপর নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢোকে পুলিশ। দুই ঘণ্টার অভিযানে দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১০টি হাতবোমা।

    সমাবেশ পণ্ড হওয়ার মুহূর্তেই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হরতালের ঘোষণা দেন জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, “তাই প্রেসনোটের ভাষ্যটি সঠিক নয়।”

    বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ অন্যায়ভাবে প্রবেশ করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “একটি দলের মহাসচিবের কক্ষ ও দরজা যেভাবে কুড়াল দিয়ে ভাঙা হয়েছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। গণতান্ত্রিক সব রীতিনীতি বিসর্জন দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে পুলিশ দিয়ে এরকম তাণ্ডব চালানো হয়েছে।”

    বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

    ১১ মার্চ দলীয় কার্যালয় থেকে আটক নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, “তা না হলে ১৮ ও ১৯ মার্চ সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল হবে।”

    জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। গত ১১ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    সংগঠনের নেতা সদরুল আমিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, কবি আবদুল হাই সিকদার, আমিরুল ইসলাম কাগজী, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, হাসান জাফরি তুহিন, হারুন অর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

    এদিকে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, “সরকার সংলাপের ধোঁয়া তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

    হান্নান শাহ বলেন, “এই অভিযান ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত। কারণ ওই অভিযানে প্রায় কয়েকশ’ ডিবি ও এসবি পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে। আগের থেকে পরিকল্পনা না থাকলে গোয়েন্দা সংস্থার এতো লোকের একসঙ্গে সমাবেশ ঘটলো কিভাবে।”

    সংগঠনের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

     fokrul