প্রেমের পরিণতি অবশেষে বিয়ের দাবীতে অনশন

    0
    250

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  ২ বছর পূর্বে প্রথমে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে কথা। এরপর থেকেই একে অপরের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক তার সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কে গড়ায়। এখন ঐ তরুনীকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তরুনী কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবীত গত সোমবার বিকাল ৩টা থেকে প্রেমিক মোক্তার মিয়া অরফে আকাশ বাড়িতে অবস্থান করার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে। এর পর গত ৪দিন ধরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে আসলে উল্টো প্রেমিক মোক্তার মিয়ার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় ওই হতদরিদ্র তরুনীর উপর গত ৪দিন ধরেই চলছে বিভিন্নভাবে নির্যাতন হুমকি আর ভয়ভীতি।
    প্রেমিক মোক্তার মিয়া উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলীগাও গ্রামের ঠাকুর হাটির উসমান মিয়ার ছেলে। আর প্রেমিকার বাড়ি একেই গ্রামে।
    জানাযায়,গত ১৯ইফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামে হযরত শাহ ক্বারী নুরালী শাহ ওরশের রাতে প্রেমিক মোক্তার মিয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য ঘরে প্রবেশ করলে তরুনীর মা বাবা তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে প্রেমিক মোক্তার মিয়া বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।
    ঐ তরুনীর বাবা ও মা জানান,তারা গরিব মানুষ দিন এনে দিন খায়। সোমবার সকালে কাজের সন্ধানে তারা অনত্র চলে গিয়ে বিকালে এসে বাড়িতে তাদের মেয়ে ঘরে নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে প্রেমিক মোক্তার মিয়ার বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছে।
    তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েটা স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। মোক্তারের বড় ভাই এরশাদ সর্দার বারবার পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। তারা টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন,ইজ্জতের মূল্যতো আর টাকা পূরণ হয়না।
    প্রেমিক মোক্তার মিয়ার বড় ভাই এরশাদ সর্দার জানান,এক তরুণী গত সোমবার থেকে আমাাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে। তাদের প্রতিপক্ষ্যরা হয়রানী ও ফাসানোর জন্য এমনটা করছে বলে তিনি দাবী করেন।

    শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আমিন জানান,এঘটনাটি উভয় পক্ষের লোকজনকে বলে দেয়া হয়েছে বিষয়টি সামাজিক ভাবে তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য।

    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আতিকুর রহমান জানান,এমন একটি ঘটনা শুনেছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার থেকে এবিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।