বাংলাদেশের জয়যাত্রা ও পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নের জন্য যুবক ও তারুণ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। যেহেতু বাংলাদেশ আজ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে অভূতপূর্ব গতিতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও সফলতার সাথে অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, তাই সজীব ওয়াজেদ জয়’র মতো শিক্ষিত, মার্জিত, টেকিসেভার, উদ্যোগী, মাল্টিট্যালেন্টকে এদেশের লাখো তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে দেশসেবায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ আমার মতো লাখো তরুনের মনে প্রোথিত হয়ে আছে।
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছিলেন, তাঁরই কণ্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের মাঝে নতুন করে চিনিয়েছেন। আর্থসামাজিক উন্নতি থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত, সামাজিক উন্নয়ন, জীবনমানের উন্নয়ন সর্ব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। এখন এগুলোকে ধরে রাখতে হবে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।অথ্যাৎ টেকসই উন্নয়নের মহাযজ্ঞ সুচারুরুপে সম্পন্ন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সম্পুণরুপে সার্থক অবয়ব পাবে।
ইতিমধ্যে, ১৬ কোটি জনগণ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেতে শুরু করেছে। মানুষের জীবনযাত্রা অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক সহজলভ্য হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আজ বিশ্বের সাথে এক ছাতার নিচে বসবাস করছি আমরা। আসলেই, সীমান্ত বিহীন সংযোগ ও উন্নয়নের জয়যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ এশিয়ার উদীয়মান দেশ হিসেবে সর্বমহলে প্রসংশিত হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভাবিতভাবে এগিয়ে যাবার নেপথ্য কারিগর বর্তমান বাংলাদেশের প্র্রতিটি তরুনের আইকন, অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আমরা আইসিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি অর্জনের ক্ষেত্রে জয়’কে অনুভব করি, যেমন অনুভব করি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিচক্ষণতা, দুরদর্শীতা ও অপুর্ব মাল্টিডাইমেনশ্যনাল এবং বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে দেশকে বর্হিবিশ্বে নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছেন।
আজ বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বাংলাদেশ আজ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে শরনার্থী হিসেবে স্থান করে দিয়ে, বিশ্বের অন্যতম মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের নিকট চিহ্নিত হয়েছে। সমগ্র দেশে প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন সুচকে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ জুড়ে অগণিত সংখ্যক লোকের জীবনযাত্রা সহজলভ্য হয়েছে, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেবা ও পরিষেবা পেপারলেস হয়ে পড়েছে, বাকিগুলোও অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইন মাধ্যমে চলে আসবে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে ইন্টারনেট সেবা সংযোগের অন্যতম বাহন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট – ১ উৎক্ষেপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ ইতিমধ্যে প্রমাণ সহকারে স্বমহিমায় এগিয়ে চলছে। এ যেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের উৎসব চলছে দেশজুড়ে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা’র যুগে গেল সপ্তাহে পদার্পন করল বাংলাদেশ।
ই-মেইল আদান প্রদান, ই- কমার্স, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সকল জেলা এবং এমনকি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দরজায় পৌঁছে গেছে। স্মার্টফোন হয়ে গেছে আজ প্রাত্যাহিক তথ্য আদান – প্রদান ও কাজকর্মের অনুসঙ্গ। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ে’র আধুনিক, সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইস্পাতকঠিন আত্মপ্রত্যয় ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ আইসিটি সেক্টরে অভাবণীয় উন্নতি ঘটেছে।
বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের অন্যতম পথিকৃৎ, বিজয় বাংলার সফটওয়ারের উদ্ভাবক মাননীয় মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আইসিটি মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়ার পর আরও ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞার সাথে আইসিটি খাত এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কর্মদ্দমী ও বাংলাদেশের বেশীরভাগ তরুনের নিকট প্রিয় ব্যক্তিত্ব। ফেসবুকে এ দুজনই বেশ সরব। সবসময় যুক্ত থাকার ফলে মানুষ সরাসরি তাঁদের কর্মযজ্ঞ অবলোকন করতে পারছেন, সংযোগ সাধন করতে পারছেন।
আমি একজন তরুন হিসেবে চাইব, সকল সংসদ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকা এবং জনগণের একটা মেধাবী অংশের সাথে সংযোগ রক্ষা করবেন। ইতিমধ্যে, অনেকেই বিভিন্ন পেজ / আইডি খুলে প্রচারণা ও প্রাত্যাহিক কাজকর্ম, উন্নয়নচিত্র সম্পর্কে জানান দিচ্ছেন। এটা প্রসংসনীয় উদ্যোগ। জনগণের আরো কাছাকাছি যেতে, মন্তব্য/ সমস্যা সমাধান ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সাড়া দিলে মানুষ আরো আপন হয়ে উঠবে। জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হবে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আরো গভীর ও নিখাদ।
এক্ষেত্রে, সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশ এর জনগণের আশার নাম হয়ে উঠেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ দেশের প্রতিটি তরুনের প্রাণের দাবি, কারন তাঁর হাত ধরেই দীপ্ত পায়ে এগিয়ে চলবে সোনার বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে, প্রধানমন্ত্রী সামাজিক উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্থান করে নেওয়া আমাদের মাতৃভূমি থেকে মাদক, জঙ্গি, দুর্নীতি, বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও সকল অপশক্তিকে নির্মুলে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
প্রকৃত উন্নয়নের পথে এ বাধাগুলো সরিয়ে ও একটি শিক্ষিত যুবসমাজকে নিয়ে সুস্থ ধারার জনকল্যানমুলক রাজনীতির পথ উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের দেশ চালনোর নিমিত্তে। আগামীর বাংলাদেশ হবে প্রপাগান্ডা, সংহিসতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতামুক্ত নিরাপদ ও নৈতিক এবং সামাজিক মুল্যবোধসম্পন্ন সোনার বাংলাদেশ ।
আগামীতে এ দেশকে তরুনরা নের্তৃত্ব দেবে, আর তাদের পথচলা মসৃণ করার জন্য জোরালো উদ্দীপনা, সংকল্প, রাজনৈতিক জ্ঞান, নিখুঁত ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশকে জঞ্জাল ও কলঙ্কমুক্ত করছেন সারা দেশের জনগণের একমাত্র প্রকৃত ও বিশ্বস্থ অবলম্বন শেখ হাসিনা। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিকদের প্রজ্ঞা ও আধুনিক এবং তথ্যপ্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন তরুনদের পারস্পরিক নের্তৃত্বে দেশ ২০৪১ সাল বা তার পুর্বেই রুপান্তরিত হবে বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী উদীয়মান এ দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ ও সুখী এবং সকল অশুভ দুর করতে রাত -দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সেই সাথে সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় রাজনীতির সাথে আরো ওতপ্রোতভাবে অংশগ্রহণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নের্তৃত্ব দেবেন, এটাই একজন তরুন হিসেবে চাওয়া। আইসিটি খাত হবে আগামী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম প্রধান নিয়ামক। দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগে’র ফলে দেশের অর্থনীতি নতুন এক উচ্চতায় উন্নীত হবে। দেশে বিভিন্ন এলাকায় হাইটেক পার্ক স্থাপন. ইলেকট্রনিক সিটি, বিনিয়োগের অফুরন্ত দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরকারের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে, মফস্বলের ছাত্র – ছাত্রী বা যেকোন ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকুরী বা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। আইটি খাতে আমাদের বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ ভারত যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি অদুর ভবিষ্যৎতে বাংলাদেশও একইভাবে নের্তৃত্ব দেবে।আজ নাসার সিইও একজন ভারতীয়। ভারত এখন আইটি সেক্টর থেকে বিলিয়ন ডলার আয় করে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন বাংলাদেশী মেধাবী ও সৃজনশীল তরুনরা বিশ্বের বিভিন্ন্ রাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের সাথে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করছেন।
এদেরকে একসময় দেশে এনে, দেশ গড়ার কাজে লাগাতে পারলে উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে। এটা হবে – ব্রেইন গেইনিং পদ্ধতি। একথা স্পষ্ট ও দ্ব্যার্থহীনভাবে বলা যায় যে, বাংলাদেশে আইসিটির অগ্রদুত সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক-নির্দেশনায় সেদিন আর খুব বেশী দুরে নয় যেদিন বাংলাদেশী বাঙালীরা সারাবিশ্বে মহাকাশ বিজ্ঞান, রবোটিক প্রযুক্তি, সেলুলার প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সর্বশেষ প্রযুক্তির সম্মিলনে সফলতার সাথে কাজ করবে। সবশেষে , এদেশে শুদ্ধাচার চর্চার অন্যতম সুতিকাগার হবে আইসিটিভিত্তিক কার্যালয়সমুহ। ই -গভার্নেন্স হবে সুশাসন ও মুল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার অন্যতম হাতিয়ার। টেকসই উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হল আইসিটি।
সুতরাং, এর বিস্তৃতিতে সরকারের সাথে জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। এখনি সময় সিদ্ধান্ত নেবার আমরা কি একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশে উত্তরসুরীদেরকে উপহার দিতে চাই কিনা? যদি চাই তাহলে, দেশকে এগিয়ে নিতে, উৎকর্ষতা ও সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আর এতেই, বাংলাদেশের জয়ের জয়যাত্রা চলতে থাকবে অভীষ্ট লক্ষ্যে। লেখকঃসব্যসাচী পুরকায়স্থ মিথুন,গণমাধ্যমকর্মী ও প্রবন্ধকার।