বদরুলের মতো কাপুরুষদের রুখতে প্র্রয়োজন “সম্মিলিত প্রচেষ্টা”

    0
    349

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,অক্টোবরঃকিছু দিন আগে আমাদের যুব সমাজ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে ছোট একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম। সেখানে ছোট পরিসরে অনেক কিছুই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আজ আবারও লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে সঙ্গত কারণে। তবে পূর্বে যা আলোচনা করেছিলাম তার পুনরাবৃত্তি না করে একটি পাশবিক মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে এমন একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই।

    আমেরিকান বাংলাদেশি Rap সিঙ্গার ফকির লালের, একটি গানের লিরিক্সের কথা মনে পড়েছে -গরু তুই মানুষ অইলে না, গানের কথাগুলো শোনার পর হাসছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম এটা কোন ধরণের গান? আমাদের সমাজে রেমডেমলি কিছু ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটছে যা দেখে উপলব্ধি করে আজ আমি এই উপসংহারে এসেছি যে, দেশ ও সমাজে মানুষরুপী কিছু গরু আছে সেগুলো কখন যে মানুষ হবে তা বলাই মুশকিল।

    যে বিষয়টা আমাকে আহত করেছে, ব্যথিত করেছে, তাড়া করছে আমার অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কিন্তু আমি অনেকটা ভাষা হারিয়ে বাকরুদ্ধ কি লিখব কোথা থেকে শুরু করব। আমার মনে অনেক প্রশ্ন? দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে দেশের প্রাচীন বিদ্যাপিট সিলেট এম সি কলেজে পুকুর পাড়ে এ যেন এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ভিডিও ক্লিপটিতে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ঐ মেয়েটি, প্রিয় খাদিজাকে বলতে শুনেছি ‘ও মাইগো ও মাইগো’ -যা আমাকে করেছে বাকরুদ্ধ, আমি বারবার চেষ্টা করেছি ভিডিও ক্লিপটি দেখার জন্য কিন্তু আমাকে স্কিপ করতে হয়েছে। মানুষ কিভাবে এত ভয়ঙ্কর জানোয়ার হতে পারে?

    প্রকাশ্যে খাদিজাকে কোপাচ্ছে বদরুল !
    প্রকাশ্যে খাদিজাকে কোপাচ্ছে বদরুল !

    কা-পুরুষের সংজ্ঞা কি? অতি সংক্ষিপ্তভাবে বললে আজ আমি বলব–বদরুল আলম! ঐ ছেলেটি একটা কা-পুরুষ। বদরুলের মত ছেলে পিত-মাতা দেশ জাতির জন্য কলঙ্কের, আতঙ্কের এবং অনুশোচনার। সে ছাত্র নামের কলঙ্ক। খাদিজা তার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেছে- তো কি হয়েছে? কি ব্যাঙের প্রেমিক! প্রকৃত প্রেমিক হলে তো খাদিজার চোখের আড়াল হওয়ার কথা ছিল ঐ Stupid প্রেমিক বদরুলের। সাময়িক না হয় চিরতরে —কাপুরুষ অসভ্য। আর না হয় নিজের মধ্যে যে যোগ্যতার অভাব ছিল খাদিজাকে পাওয়ার জন্য তার সন্ধানে কাজ শুরু করা। 
    বদরুল ইসলাম কার? এই প্রশ্নে দেশের রাজনৈতিক দল নেতা-কর্মীরা যুক্তি পরামর্শ দিচ্ছেন যা থেকে মানুষের ক্ষোভ ধিক্ষার ঘৃণা প্রকাশ পাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু কেউ কেউ অতি বিপ্লবী হয়ে এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে সময় নষ্ট করছেন- This is not a political problem. there are no sign or indication within this matter which is indicate us or nations politics involve on it. 

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গটনমূলক আলোচনা সমালোচনা করতে পারি। কাল্পনিক রূপরেখা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কিছুই নেই। প্রকাশ্যে একটি ছেলে একটি মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, ভিডিও ফুটেজ হয়েছে, পৃথিবীর মানুষ দেখছে, বদরুলকে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে, সবকিছু লাইভ -এখানে কিসের দায়? দায় নিলেই কি আমূল পরিবর্তন আসবে? দায় তো পরিবারই নেয়ার কথা! সে যে অপরাধী নিজেই স্বাকীর করেছে, ঐ দিনের দুর্ঘটনার পরিকল্পনা কি ছিল প্রথম দিনেই সে কোর্টে বলেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া বাঙালিরা একি কথা বলছেন- ছেলেটা একটা কাপুরুষ, কুলাঙ্গার।

    সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অশ্লীল অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে জ্ঞান দিচ্ছেন। কিছু কিছু আবেগি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর কথা-বার্তা ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে এই অনভিপ্রেত সম্পূর্ণ  অরাজনৈতিক ঘটনাকে রাজনীতিতে ইনভেস্ট করে দুই এক দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাস্তায় নিয়ে আসবেন। ফেইসবুকে অনেক যুক্তিতর্ক হচ্ছে, চোখ বুলালে দেখা যায় সবাই Politically motivated সবার পিছনেই “বড় ভাই” আছেন। নিজের চিন্তা চেতনা চাপা খাচ্ছে “বড় ভাই” কে খুশি করার তরে। বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপিকে লক্ষ্য করে এক ভাই সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন —

    শিশু ইমনকে হত্যা করেছিল মসজিদের ইমাম শহিবুর রহমান সুজন, এজন্য কি বাংলাদেশ ইমাম সমিতি দায়ী? ছাত্রী ধর্ষণকারী শিক্ষক পরিমলের কথা কি মনে আছে? 

    এই দায় কি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির? বাবা মা’র আদরের সন্তান ঐশী’র কথা নিশ্চয় ভুলে যান নি? এজন্য কি বিশ্বের সকল সন্তানকুল দায়ী?

    অবশ্যই না। সুতরাং নরপিশাচ বদরুলের অপরাধের জন্য যারা ছাত্রলীগকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছে তারাতো আজীবনই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। যেখানে বদরুলের গর্ভধারিণী মা তার সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি নয় সেখানে ছাত্রলীগের উপর দায় দিতে যারা মরিয়া তারা সমাজের কীট। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। 

    তর্ক যুক্তির শেষ নেই, তাই বলছি আমরা যারা ইমোশনালি ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগ বলে দোষারোপ করছি বা করার চেষ্টা করছি, আমাদের বুঝতে হবে ঘটনা কি? ঘটনার পিছনে কারণ কি? একটি আহাম্মক কাপুরুষ ভালোবাসা প্রত্যাখ্যাত ছেলের নিজেস্ব চিন্তা-চেতনা দ্বারা পরিকল্পিত সম্পাদিত এই দুর্ঘটনার জন্য সে নিজেই দায়ী। আমরা সমাজ, রাষ্ট্র রাজনীতিকে গঠনমূলক পরামর্শ বা দোষারোপ করতে পারি। এই ধরণের নৈতিক অধঃপতন থেকে উত্তরণের জন্য আপনার আমার চিন্তা পরামর্শ নিয়ে আসতে পারে একটি পজেটিভ পরিবর্তন। এই প্রেম ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান এই সবের সাথে আমি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বা জাসদ কারো অস্তিত্ব সম্পৃক্ততা খুঁজে পাচ্ছি না। 

    সব বিষয় নিয়ে লম্বা বয়ান মতামত বাণী বিবৃতি দেওয়া ঠিক না। আমি যে দেশে বসবাস করি যুক্তরাজ্যে সেই দেশে যদি দুইজন মানুষ রাস্তার মারামারি করে–পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া পথচারী টু শব্দও করবে না। সে নিজেকে জড়াবে না ফালতু ঝামেলায়। যা করবে তা হল একটু আড়াল হয়ে পুলিশকে ফোন দিয়ে বলবে, পুলিশও  ৫/৭ মিনিটের মধ্যে চলে আসবে যা সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সিলেটের এম সি কলেজে সংগঠিত দুর্ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখে মনের মধ্যে চিন্তা, শঙ্কা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ আজকাল বিদেশিদের মত বেশ আধুনিক হয়েছে। 
    অন্যায়, অবিচার, অনিয়মে আমাদের মানুষগুলো ছিল সবসময়ই সোচ্চার প্রতিবাদী,মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ত অন্যের বিপদে। ছবিতে লক্ষ্য করলাম কিছু মানুষ রেকর্ড করছে। কিছু মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে চিল্লা-চিল্লি করছে আর দেখছে। রেকর্ড করা ছিল জরুরি, তবে তার চেয়ে বেশি জরুরি ছিল তৎক্ষণিকভাবে সাহস করে ঝাঁপিয়ে পড়ে খাদিজাকে রক্ষা করা, তাতে খাদিজা হয়ত আহত হত-এতটা গুরুতর আহত হত না। আমি আপনাদের দোষারোপ করছি না , জ্ঞান দিচ্ছি না, আপনারা ছিলেন বর্তমান, পরিবেশ পরিস্থিতি আপনারাই মোকাবিলা করেছেন। মানুষ আপনাদের প্রশংসায় দেশে বিদেশে পঞ্চমুখ। আমি ও আপনাদের ধন্যবাদ দিতে চাই, বিশেষ করে আমার ভাই ইমরান যে কাজটি করেছে। একটা সময় ছিল আমাদের মন-মানসিকতা চিন্তা-চেতনা মানবপ্রেম, দেশপ্রেম, প্রতিবেশী শ্রদ্ধা ছিল ইমরানের মতো। ইমরান হতে পারে আমাদের জন্য একটি উদাহরণ। 

    সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে আমাদের যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে আবারও। খুন, ধর্ষণ, পর্ণ ভিডিও, আত্মহত্যা এ যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? কেন আমাদের এত সামাজিক অধঃপতন? সে বিষয়গুলো সমাজ বিজ্ঞানীরাই ভাল বলতে পারবেন। পাশাপাশি ফেইসবুক বিজ্ঞানীদের মতামতকে উপেক্ষা করা যায়না! আমার বন্ধু তালিকার অনেকেই আছেন যাদের আছে ইমোশন আছে আবেগ কেউ কেউ আবার প্রতিবাদী অতি বিপ্লবী।

    কেন এ সব সামাজিক বিপর্যয়? তার কারণ কি? অনুসন্ধান করতে হবে, ডিসিপ্লিন করতে হবে। দায়িত্বশীল মন নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে কাজ করতে হবে মানবিক আদর্শে দেশপ্রেমে। আমাদের পারিবারিক সামাজিক বন্ধনের ভিত্তি আজ বড়ই নাজুক। দিন কি রাত আমরা অর্থ আর প্রাচুর্যের পিছনে ছুটছি। আমরা অভিবাবকরা অৰ্থ-প্রাচুর্যের পিছনে অনেকেই পাগল প্রায়। As a result আমাদের সন্তানরা বাবা মায়ের স্নেহ থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। পিতা মাতার সাথে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে সন্তানের। বাবা মা তার সন্তানের খবর রাখতে পারছে না। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কার সাথে মেলামেশা করছে কিছুই জানেনা মা-বাবা। যার ফলে আমাদের সন্তানরা হচ্ছে বিপদগামী। অতি আধুনিকতার বহিঃপ্রকাশ বা আমাদের কৃষ্টি কালচারের অজ্ঞতার কারণে অনেক পিতা মাতা আজ তার সন্তানের বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ব্যাপারে ফ্রি মেলা মেশার বিষয়ে উদাসীন। ছেলে মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক হচ্ছে পরিনামে কি ঘটছে তা পত্রিকা চোখ বুলালেই আমাদের চোখ পড়ে। 

    ছোট ছোট স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের ডিমান্ডে অন্ধ হয়ে আবেগী ইমোশনাল বাবা-মা সন্তানকে কিনে দিচ্ছেন আধুনিক ডিজিটাল টেকনোলজি। এক্সামপল কম্পিউটার, ক্যামেরা, মুঠোফোন ইত্যাদি। কিন্তু সেটা সে কিভাবে ব্যবহার করছে তার খবর কি বাবা-মার পক্ষে রাখা সম্ভব হচ্ছে? বাবা মায়েরা-কি এগুলো বুঝেন? বাসায় রাত জেগে সন্তানরা কার সাথে এত কথা বলে ক’জন মা-বাবা তার খোঁজ রাখেন? আপনি একদিকে সন্তানের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন, অন্যদিকে আপনার বাচ্ছাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি শঙ্কিত। দেখেন প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের দ্বারা-ই সৃষ্ট এই সব জঞ্জাল ও অনাকাঙ্খিত সমস্যা মোকবিলা করার মানসিকতা থাকতে হবে। আধুনিক যুগে পর্দা প্রথার বিপক্ষে অনেকেই। আমি বলছিনা বোরকা পরে মেয়েদের চলাফেরা করতে হবে। ইসলামেও ইহা compulsory নয়। কিন্তু একটা বিষয় সবাই আমার সাথে একমত হবেন যে মার্জিত পোশাক-আশাক, চালচলন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সম্মান বৃদ্ধি করে। 

    আমাদের ছেলে মেয়েরা বড়ই ফ্ল্যাসি, কথা-বার্তা, চলাফেরা সব কিছুতেই বড়ই আধুনিক হয়েছে। ফেইসবুক ওয়াটসঅ্যাপ ভাইবার ইনস্টাগ্রাম ইমো ওই চ্যাট আই চ্যাট সিক্রেট চ্যাট আরো কতকিছু আল্লাহ মাবুদে জানেন। দিন রাত সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের শেষ করে ফেলছে।

    আমার পরিচিত একজন ভদ্রলোক আমাকে বলছেন তার পরিচিত একজন থাকেন বাংলাদেশে। তার টিনেজ ছেলে বয়স হবে ১২/২৩, বাবাকে ডিমান্ড করছে আমাকে লেটেস্ট আই ফোন ৭ প্লাস দেশের বাহির থেকে এনে দিতে হবে। যার সম্ভাব্য দাম হবে বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বাবা ছেলের জন্য সেটা দেশের বাহির থেকে অর্ডার দিয়ে নিচ্ছেন। আমার মনে অনেক প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে কিন্তু কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বয়ান করা কি ঠিক হবে? শুধু মনে মনে চিন্তা করলাম ওই ১২/১৪ বছরের ছেলে যদি আই ফোন ৭ প্লাস হাতে পাওয়ার মাস কয়েক পরে আবার তার ইমোশনাল বাবাকে ডিমান্ড করে বসে-বাবা আমার বয়স ১২./ ১৪ হয়েছে এখন কিন্তু আমার ১৩/১৪ বছরের একটি মেয়ে দরকার–একা একা আমার আর ভালো লাগেনা! ইমোশনাল বাবা কি করবেন?

    তাই বলছি আমাদের বাচ্ছাদের ডিমান্ডের প্রতি আরো একটু যত্নবান হওয়া উচিৎ। অভিভাবক হিসেবে বাবা যদি ছেলেকে বুঝাতে সক্ষম হতেন ফোন ব্যবহার করার বয়স এখনও তোমার হয়নি আর আই ফোন তো প্রশ্নই ওঠেনা। তাহলে ছেলে এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক দাবি করতো না। আমি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে যা বলতে চাচ্ছি অভিভাবক হিসেবে আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রতি সম্পর্ক আরো কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে। তাদের আচার আচরণ, গতি-মতি, লক্ষণ বোঝার ন্যূনতম জ্ঞান আপনার থাকা চাই। দিন যত যাচ্ছে আমাদের চিন্তা ভাবনা কাজ কর্ম অনেকটা বনের প্রাণীর মত হচ্ছে। ক্ষমতা, ব্যক্তিস্বার্থের কারণে একদিকে আমরা বাণী বিবৃতি দিচ্ছি অন্যদিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমাজে যারা অন্যায়-অনিয়ম করছে তাদের প্রতি আমাদের ভূমিকা বোবা মানুষের মত। ইংরেজিতে একটি কথা আছে ‘toothless bulldog’ দাঁত আছে কামড়াতে পারে না। এই ধরণের মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছেই।

    বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। ইমরানসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতার ভূমিকা ছিল নজর কাড়ার মত। দেশের প্রচলিত আইনে বিশেষ বিচার প্রক্রিয়ায় বদরুলের বিচারকার্য শেষ করে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলেই এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে কারো মনে প্রশ্ন তুলতে পারে।আপডেট

    লেখকঃ নজরুল ইসলাম,ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস, লন্ডন।মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি ইউনাটেড কিংডম। আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।