প্রবাসীদের নিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ডাটাবেজ

    0
    314

    প্রবাসীদের নিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ডাটাবেজ চালু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় একটি সফটওয়্যার করা হচ্ছে। সেখানে ফেরত আসা প্রতিটি প্রবাসীর নাম ঠিকানাসহ কতদিনের জন্য এসেছেন, কত বছর পর এসেছেন, কতবার এসেছেন, একেবারে চলে এসেছেন কিনা এসব তথ্য থাকবে।

    এর ফলে সরকার সহজেই ফেরত আসা প্রবাসীদের সঠিক ডাটাবেজ তৈরি করতে পারবে। একইসঙ্গে ফেরত আসা কর্মীদের পুনর্বাসন কাজও সরকার নির্ভুলভাবে করতে পারবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মী বা প্রবাসীদের সঠিক কোনো ডাটা সরকারের কাছে নেই।

    তাই এলক্ষ্যে সরকার একটি রূপকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে সহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। প্রতিষ্ঠানটি একটি সফটওয়্যার তৈরি করে দেবে। যেখানে ফেরত আসা সব প্রবাসীর তথ্য থাকবে। যা নিয়ন্ত্রণ করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    বর্তমানে সরকারের কাছে ফেরত আসা প্রবাসীদের কিছু তথ্য আসে, সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন থেকে। এতে সামান্য কিছু তথ্য পাওয়া যায়। বিশাল পরিসরে তথ্য সংরক্ষণের জন্য সরকার এ উদ্যোগটি নিয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির গত জুলাই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। ফলে তারা দুই মাস সময় বেশি নিয়েছে। সে হিসেবে নভেম্বরে চালু করার কথা, তারপরও একটু সময় বেশি ধরে সেটি ডিসেম্বর ধরা হয়েছে।

    জনকণ্ঠ সুত্রে জানা জায়, হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাস কল্যাণ ডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৩৪ হাজার ২১২ জন কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে নারী কর্মী রয়েছেন ১১৮২ জন। আর সেপ্টেম্বর মাসে এসেছেন ৮ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে নারী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। যার বেশির ভাগ এসেছেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

    এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (অভিবাসী কল্যাণ অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, এ পর্যন্ত কতজন প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। সরকার ফেরত আসা প্রবাসীদের হিসাব রাখতে একটি সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই সফওয়্যারটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় করা হচ্ছে।

    আশা করা যাচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে এর কার্যক্রম চালু করতে পারবো। এ বিষয়ে শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে। সেখানে সফটওয়্যারে কী কী কার্যক্রম হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।