প্রবাসিদের যৌনতার ফাঁদে ফেলার অভিযোগে ২ ছাত্রীসহ আটক-৩

    0
    247

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁদ পেতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ২ কলেজ ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। গত কাল শনিবার  রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের আটক করা হয়। যৌনতার ফাঁদে পড়ে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার অনেক মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সর্বস্বান্ত হয়েছে এমন একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশ তাদের আটক করেছে।

    কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা সিআইডি পুলিশ কার্যালয়ে অভিযুক্ত ২ কলেজ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রবাসী সাইফুল ইসলাম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খাঁনপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান’র মেয়ে মারজাহান আক্তার (১৯), সেনবাগ উপজেলার কেশার পাড় ইউনিয়নের লেদুয়া গ্রামের গোলাম মাওলার মেয়ে শাহজাদী মজুমদার (২০), নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের হোসেন আহমদ’র ছেলে বিকাশ এজেন্ট দোকানদার মোশারফ হোসেন মনু।

    আটকের পর অভিযুক্তদের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রূপের জালে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুই রূপসী।

    এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী তানভির হোসেন, মোস্তফা চৌধুরী নামে দুই প্রবাসী যুবকের থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এ নারী চক্র। এ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের বেশ কয়েকজন যুবক এদের জালে ফেঁসেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে।

    নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ রয়েছে নোয়াখালীতে একাধিক সক্রিয় নারী চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর কন্যা সেজে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেওয়ার প্রলোভনে ফেলে প্রতারণা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।

    শাহ আলম আরও জানান, আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাতিয়ে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে সেক্স করে তা কৌশলে ধারণ করে নেয় পরে এসব ছবি, ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে হুমকি ধামকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

    এ ছাড়াও গরীব অসহায় লোককে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের কথা বলে মানবিক আবেদন দেখিয়ে, অসুস্থ রোগীদের বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা আইডিগুলো পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। বাহরাইন প্রবাসী কবির হোসেন প্রবাস থেকে ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, গরীব অসুস্থ লোককে সাহায্যের কথা বলে তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি ইমোতে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এই চক্রটি।