প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা বেগম জিয়া কি অসুস্থ ?

    0
    228
    আমারসিলেট24ডটকম,২৪নভেম্বরঃ প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। গত ২১ নভেম্বর দুপুরের পর থেকেই তিনি বিছানায় । বর্তমানে তিনি তার পুরনো বাতের ব্যথায় ভুগছেন। তার এ গুরুতর অসুস্থতার কারণে নিত্যনৈমিত্তিক কাজগুলোও এখন তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে করতে হচ্ছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। যে কারণে গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে তিনি তার অফিসে যেতে পারছেন না, দল বা জোটের কারো সাথে দেখাও  করছেন না বলে জানা যায়। এমনকি কারো সাথে রাজনৈতিক বা আন্দোলনের বিষয়েও কোন কথা বলছেন না বলে সূত্রটি উল্লেখ করেছে।

    অন্যদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা আন্দোলনে মনোবল হারিয়ে ফেলতে পারে- এ আশঙ্কায় গুরুতর এ অসুস্থতার পরও খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না এবং এ খবরটিও কঠোরভাবে গোপন রাখা হচ্ছে। দলীয় চাপ থাকা সত্ত্বেও একই কারণে ১৮ দলীয় জোট বা বিএনপি কোনো কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচিও ঘোষণা করতে পারছে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
    খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সূত্র ধরে জানা যায়, সামপ্রতিককালের  সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো এবং ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের অসহযোগিতার কারণে একাই সব সামাল দিয়ে চলেছেন তিনি। এজন্য তিনি রাতদিন অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন, যা তার বর্তমান ৬৯ বছর বয়সের বার্ধক্যের শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার পুরনো আর্থথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন বলেও সূত্র উল্লেখ করেছে।তার সাথে এখন যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও পরিশ্রম। এসব কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে বিছানায়। গত ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার ২ সন্তান ও স্বজনদের দূরে রেখে একাকী নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন তিনি। এর ফলেও এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক ভাবেই।
    বিএনপির দলীয় একটি সূত্র থেকে আরও জানা যায় , এ অসুস্থতার কারণেই গত বৃহস্পতিবার তিনি স্বশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনায় যোগ দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে ওই দিন খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তার শরীর ভাল নয়। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি সংবর্ধনায় যেতে পারেননি। আর সে কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল অব. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। ওই প্রতিনিধি দলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফখরুলের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সংলাপে বসার আহ্বানও জানিয়ে ছিলেন।
    অপরদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ অসুস্থতা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত ও প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা এ খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা-ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। তবে গত ৩ দিন তিনি অফিস না করা এবং কোন কার্যক্রমে অংশ না নেয়ার গ্রহণযোগ্য কোন কারণ জানাতে পারেননি তারা কেউই। বরং তিনি খুব শিগগিরই কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন বলে প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়াতে।