প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মুকুট মণি’ ও ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান

0
556
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'মুকুট মণি' ও ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান

বঙ্গ বন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।

২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গত সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর সময় ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স।

অধিবেশনে জেফ্রি স্যাক্স বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে এক হতে পেরে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত। আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এই জন্যে যে, আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।

রিফিন শুভও বাংলাদেশে এসে কাজ করেছেন এমন এক নায়িকা কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখানে বাংলাদেশের শিল্পীরা যত সুযোগ পান, সেই তুলনায় ওপার বাংলায় আমাদের কাজের সুযোগ বেশ কম।“

এ ছাড়াও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনের জন্য ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার নিউইর্য়কে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে (ভার্চুয়াল) এ পুরস্কার নেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন), গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউট ও সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দেয়।  

নিউইর্য়কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জনের জন্য এসডিএসএনসহ কয়েকটি সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। সংস্থাগুলো বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্লেষণ করেছে এবং মূল্যায়ন করে দেখেছে,বাংলাদেশ বিষ্ময়কর সাফল্য অর্জন করছে। এ পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, এ পুরস্কার এসডিজি (টেকসই ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। এসডিজির মূল বিষয় হচ্ছে কেউ পেছনে থাকবে না। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবো, যাতে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় কেউ পেছনে না থাকে। অনুষ্ঠানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এসডিএসএনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জেফরি ডি. স্যাক্স।

এ সময় অনুষ্ঠান সঞ্চালক প্রধানমন্ত্রীকে ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন অব দ্য ডে’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের অধীনে ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক সমাধানে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে এসডিএসএন। এসডিএসএন জাতিসংঘের সংস্থাগুলো, বহুপাক্ষিক আর্থিকপ্রতিষ্ঠান, প্রাইভেটর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নিউইর্য়ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ফিনল্যান্ড হয়ে নিউইর্য়ক যান তিনি।