প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে ভিক্ষা চাই:রাশেদ খানের মা

    0
    255

    ডেস্ক নিউজঃ আমি একজন মা হয়ে দেশের মায়ের কাছে ছেলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিক। চাকরি লাগবে না, আমি সন্তানের মুক্তি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে ভিক্ষা চাই।’ গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ছেলেকে ফিরে পেতে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান মোহাম্মদ রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম।

    সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

    আন্দোলনে সহিংসতা সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেপ্তার রাশেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর পরই ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন তার মা।সালেহা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের মা, দেশের মা। তার কাছে আমার সন্তানকে ভিক্ষা চাই। সে যেন মুক্ত হয়ে পড়ালেখা করতে পারে, বাকি পরীক্ষাগুলো যেন দিতে পারে আমি সেটা চাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সোনামণির মুক্তি চাই।’

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই মা বলেন, ‘আমি এখন কী করব, আমার সোনামণির কোনো দোষ নাই। তবুও আমি তার অপরাধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি তো চাইলেই আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ডিবি অফিসের সামনে রাশেদের সঙ্গে ভাগ্যক্রমে আমাদের দেখা হয়। রাশেদ আমাদের বলেছে, তাকে যেন না মারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে। তার মুক্তির জন্য যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি। সে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়নি, সে শুধু চাকরির কোটা সংস্কার চেয়েছিল। এখন আমাদের এর (কোটা সংস্কার) আর প্রয়োজন নেই। আমার সোনামণির মুক্তি চাই।’ রাশেদকে নিয়ে নিজের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে সালেহা বেগম বলেন, ‘পরের বাড়িতে কাজ করে তারে পড়াশোনা করালাম; এখন তার হাতে হাতকড়া পরানো হইছে। আমি তারে ছাড়া কেমনে চলব। আমি এখন তারে ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছি।’

    সংবাদ সম্মেলনে রাশেদের স্ত্রী রাবেয়া আলো বলেন, ‘রাশেদকে মুক্তি দিলে সে আর আন্দোলন করবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার মুক্তি চাই।’ এ সময় রাশেদের বোন সোনিয়া আক্তারও উপস্থিত ছিলেন। গত ১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে মিরপুরের ভাসানটেকের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। পরে তাকে প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।আমাদের সময়।