প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

    0
    383

    জামাল হোসেন লিটন,চুনারুঘাট থেকে: হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছেন এডভোকেট মাহবুব আলী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। এ খবরে উচ্ছ্বসিত তার নির্বাচনী এলাকাসহ জেলাবাসী। জেলার মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন মাহবুব আলী। বুনিয়াদী আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারেই বেড়ে ওঠা তার। বাবা প্রয়াত মাওলানা আসাদ আলী এ আসন থেকেই ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও সজ্জন নেতা হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল সর্বত্রই। আপামর সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধার পাত্র। গণমানুষের নেতা মাওলানা আসাদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মাঝে এডভোকেট মাহবুব আলী চতুর্থ। তিনিও বাবার মতোই সততা ও নিষ্ঠায় অতি অল্পদিনেই সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। স্থানীয় আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকা বারের সদস্য পদ লাভ করেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। অতি অল্প দিনেই বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। দলের হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকেই বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই তাকে সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৯৮ সালে তিনি এ পদ ছেড়ে দেন।

    ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে তিনি সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তি জীবনে এডভোকেট মাহবুব আলী দুই মেয়ের জনক। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। আর ছোটজন আইন বিষয়ে অনার্স পড়ছেন।