প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে নাকাল ছাতকবাসীঃছিন্নমূলেরা চরম দুর্ভোগে

    0
    253

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭জানুয়ারী,চান মিয়া,ছাতকঃ    ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছেন ছাতকবাসী। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা মৃদু শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়ায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। হঠাৎ করে জেঁকে বসা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা। আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত নানা রোগে। দূর্দশার কমতি নেই শ্রমজীবি মানুষের বেলায়ও। হিমেল হাওয়াও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে কাজ করতে গিয়ে পোহাচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগ। ভাল নেই হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরাও।

    প্রচন্ড শীত ও তীব্র শৈত্য প্রবাহের কাছে কাবু তথা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সর্বস্তরের লোকজন। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাতের বেলা একটু প্রশান্তির ঘুমের আশায় একসঙ্গে চার-পাঁচজন দু’তিনটি কাঁথা-মুড়ি দিয়ে করছেন রাত্রিযাপন। উপজেলার নোয়ারাই, ইসলামপুর, চরমহল্লা, কালারুকা,ছৈলা-আফজালাবাদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, সিংচাপইড়, ভাতগাঁও, জাউয়া, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, দোলারবাজার ও ছাতক পৌরসভাসহ সবগুলো ইউনিয়নের স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে হিমেল হাওয়া তথা শৈত্য প্রবাহের ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

    শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে এসব হতদরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা আরো জানান, বিগত কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার, প্রবাসী ও বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে এগুলো ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।

    এ ব্যাপারে শীতার্ত মানুষের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারসহ সকল সামর্থবানদের প্রতি আহবান জানান উপজেলাবাসি।