আমারসিলেট24ডটকম,০১জুনঃ মতবিনিময় সভায় অর্থনীতিবিদ ইব্রাহীম খালিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন, তথ্য সচিব ফরহাদ হোসেন, প্রধান তথ্য কমিশনার মোঃ ফারুক, সমুন্নয় সমন্বয়কারীদিলরুবা বিগত সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, মালামাল পরিবহনে অনিশ্চয়তার ফলে চরমবিপর্যয়ের মুখে পড়ে পোল্ট্রি খাত। এর সঙ্গে জড়িত প্রায় ৭০ লাখ মানুষের জীবনঅনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রায় ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ করে লোকসানের ভারেদিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পোল্ট্রি খাতকে ২০২৫ সালপর্যন্ত করমুক্ত ঘোষণাসহ পাঁচ দফা জানিয়েছে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অববাংলাদেশ।
সংগঠনের মহাসচিব সাইদুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে এসব দাবি জানান।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ঋণের হার ৯ শতাংশ নির্ধারন। ফিড মিলকে পূর্বেরকর অবকাশের আওতায় রাখা।
বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসনে দেশীয় কোম্পানিগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সেবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ। বিদেশি কোম্পানির আয়ের ৯০-৯৫ শতাংশ এদেশে বিনিয়োগকরতে হবে।বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার করার জন্য বাধ্যতামূলক করার নীতিমালা প্রণয়ন।
অপরদিকে একটি সুত্র জানায়,দেশের বিভিন্ন এলাকাতে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের মত পোল্ট্রি শিল্পের সিন্ডিকেট ব্যবসা থাকায় প্রান্তিক খামারিরা ভাল মানের বাচ্চা,ফিড,মেডিসিন থেকে বঞ্চিত।কারন হিসেবে সূত্র বলেন,অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের প্রত্যাশায় পোল্ট্রি শিল্পের কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়িরা নিম্ন মানের বাচ্চাও খাবার পরিবেশন করে ফলে খামারে চাহিদা ভিত্তিক ওজন যেমন আসেনা, তেমনি কোন না কোন রোগ খামারে লেগেই থাকে। যখনই সিজন তখনই এক লাফে প্রতি বাচ্চায় ১০/১৫/২০ টাকা,প্রতি ব্যাগ ফিডে ১৫০/২০০ বেড়ে যায়, এতে করে খামারের খরচ বাজেটের বাইরে চলে যায়,তখন বাধ্য হয়ে উচ্চ সুদে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অথবা “ব্ল্যাংক চেক” দিয়ে খামারে বাচ্চা উঠাতে গিয়ে একসময় সুদ অথবা ব্ল্যাংক চেকের মামলা টানতে টানতে ঋণ থেকে ঋণে ডুবে যেতে থাকে!
আবার পোল্ট্রি শিল্পের বাচ্চা,খাবার,ঔষধের গুনগত মান নিয়ন্ত্রনেরও এলাকা ভিত্তিক কোন উপায় নাই। নিম্ন মানের বাচ্চা,খাবার,ঔষধ ব্যবহারের ফলে খামারিরা ঋণে জর্জরিত হয়ে বিষাক্ত জীবনযাপন করছেন। দেশের অনেক খামারি সিন্ডিকেট ব্যবসার কারনে খামারের পূঁজি হারিয়ে বেকারত্ব হাসিল করে আদালতের বারান্দায়ও চেক ডিজঅনার মামলায় ধর্না দিতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।