পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

    0
    274

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ  নড়াইলের শেখখাটি ফাঁড়ির ইনচার্জ, সহকারী ইনচার্জ ও কয়েক পুলিশের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মানিককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়ে সে সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা করাতে গেলেও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন এবং আহত মানিককে জোরপূর্বক নিয়ে আসে সহকারি ইনচার্জ এএসআই আলমগীর। বর্তমানে মানিক গুরুতর আহত অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার বিচার দাবি করে শনিবার (২৮ মার্চ) নড়াইলের পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত করেছেন আহতের মা লতিফা বেগম।
    লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম মানিক ঢাকায় আলিবাবা ডোর এন্ড ফার্নিচারের রিজিওনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজ বাড়ি সদরের শেখখাটি গ্রামে চলে আসে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে সে কাঁচা বাজার করে ফিরে যারার পথে শেখখাটি বাজারের মধ্যে সাদা পোশাকে দুজন ব্যক্তি ( পরে শুনেছি একজন শেখখাটি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই এনামুল ও অন্যজন কনষ্টবল) এখানে করোনা ছড়াতে এসেছিস ? এ বলে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং মারতে ফাঁড়িতে নিয়ে এসআই এনামুল ও এএসআই আলমগীর ও কয়েক কনষ্টবল প্রায় ১ ঘন্টা থেমে থেমে রুল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গার আঘাত করে। পরে ফাড়ির সহকারি ইনচার্জ আলমগীরসহ ৩ পুলিশ মানিককে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নসিমনে সদর থানার ওসির কাছে আনলে তিনি এলাকায় গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে ছেড়ে দেয়।
    দুপুর ১টার দিকে মানিক সদর হাসপাতালের ইর্মাজেন্সি বিভাগে চিকিৎসা করাতে যায়। বিষয়টি এএস.আই আলমগীর টের পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে বলে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। এই বলে মানিকের ভাই রতনের কাছ থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশান এবং তাকে(মানিক) নিয়ে শেখাটি চলে যায়। রাত ৮টার দিকে মানিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আ্যাম্বুলেন্সে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরিকুল ইসলাম মানিক জানান, ফাঁড়ির পুলিশ একজনের মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়েছিল বিষয়টি টাকা দিয়ে মিমাংসা করতে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করিনি বিধায় কোনো আপোষে যাইনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান।

    শেখখাটি বাজার কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম সরদার বলেন, ৬ তেকে ৭জন পুলিশ মানিকের মাস্ক না থাকার অভিযোগে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে বেধড়ক মারপিট করে। আমরা বাজার কমিটির লোকজন পুলিশের হাত-পা ধরলেও তারা কোনো কথা শোনেনি।
    এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চ ল শাহরিয়ার মিম বলেন, শেখখাটি এলাকায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অনেক ভূমিকা রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
    অভিযুক্ত শেখখাটি ফাঁড়ি ইনচার্জ এনামুল বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আমরা ডিউটি পালন করছিলাম। তার মাস্ক পরা ছিল না। তাকে এসব বিষয়ে পশ্ন করা সে পুলিশের সাথে বেয়াদবি করে। তাকে মারা হয়নি। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে মিমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এএসআই আলমগীর মানিককে চিকিৎসা নিতে বাঁধা দিয়েছে বিষয়টি ঠিক নয় বলে জানান।
    নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দেশের এই অবস্থায় হয়তো কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।